মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি ক্ষমতায় এলে সিঙ্গুরে আবার ফিরিয়ে আনা হবে টাটা গোষ্ঠীকে। শুক্রবার বিকেলে সিঙ্গুরের একটি সভা থেকে এমনই হুঙ্কার দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি অভিযোগ করেন, সিঙ্গুরে না হল শিল্প, না হল কৃষি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে গলা তুলে বলেন, "ভাতা কোনও সমাধান নয়, কর্মসংস্থান আর সরকারের রাজস্ব বাড়াতে গেলে প্রয়োজন শিল্পের।" সিঙ্গুরের ওই জমির একাংশ এখনও চাষযোগ্য হয়নি। তা ব্যবহারযোগ্য করার দাবিতে চাষিদের একাংশ ফের রাজ্য সরকারের কাছে দরবার শুরু করেছে। সেই নিরিখে সিঙ্গুরে বিরোধী দলনেতার প্রয়াত রতন টাটাকে শ্রদ্ধা জানাতে আসার বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
মমতাকে মেরে তুলে দিলে এই অবস্থা হত না ! (Suvendu Adhikari)
শুক্রবার বিকেল চারটে নাগাদ সিঙ্গুরের (Singur) সাহানাপাড়া থেকে এক সময়ের প্রকল্প এলাকার মেশিনারি গেট পর্যন্ত দলীয় মিছিল করল বিজেপি। মিছিল শেষে সভায় বক্তব্য রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "জাতীয় সড়ক বন্ধ করে নেচেছে, গেয়েছে। বুদ্ধবাবু যদি মমতাকে মেরে তুলে দিতেন, তাহলে সিঙ্গুরের এই অবস্থা হত না। জ্যোতিবাবু থাকলে হত না এমন। একটা কারখানাকে ভেঙে তুলে দিল, অন্তরটা জ্বলে যেত।" এদিন সিঙ্গুরে টাটার কারখানা না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, "আমার দম আছে, তাই অকথিত তথ্য দিচ্ছি। সিঙ্গুরে টাটার কারখানার বিরোধিতা করার কথা মুখ ফুটে বলতে পারিনি। তৃণমূল দলের মধ্যেই ছিলাম ঠিকই, কিন্তু এই ধ্বংসযজ্ঞে সামিল হইনি। ২৬ দিনের স্যান্ডুইচ-চকলেট খাওয়া অনশনে একমাত্র বিধায়ক আমি, যে যাইনি।" শুভেন্দু আরও বলেন," বিজেপি ক্ষমতায় এলে হাতে-পায়ে ধরে টাটাকে ফেরাব। টাটা ছাড়া শিল্প হয় না। আমি দেখেছি, এপিজে আব্দুল কালাম আর রতন টাটাকে ভালো ছাড়া কেউ খারাপ বলেনি। সিএসআর অ্যাক্টিভিটির জনক হলেন রতন টাটা। সেই টাটাকেই মমতা বলেছিলেন বর্জন করুন। আমরা ওঁর কাছে ক্ষমা চাইছি বাঙালি হিসেবে। আর শপথ করছি, আমরা ক্ষমতায় এলে আপনার প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে আসব।"
আরও পড়ুন: চারদিনে দেশের ২০ বিমানে বোমাতঙ্ক, মিলল লন্ডন-জার্মানি যোগ! কড়া পদক্ষেপের পথে কেন্দ্র
সিঙ্গুরের জমির সর্বনাশ করেছেন মমতা
তিনি (Suvendu Adhikari) এদিন দাবি করেন, "সিঙ্গুর থেকে শুধু শিল্পকে সরাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সিঙ্গুরের জমিরও সর্বনাশ করেছেন তিনি। প্রোমোটিং আর তোলাবাজিতে ভরে গিয়েছে সিঙ্গুর। একটা কারখানাকে কেন্দ্র করে দশ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শিল্প হতে পারত।" তাঁর কথায়, "সিপিএমের জন্য মমতা এখানে ঢুকতে পেরেছিল। ১৩ হাজার জমির মালিক ছিলেন। বেশির ভাগ চাষি চেক নিয়েছিলেন। কিন্তু বর্গাদারকে টাকা দিতে চায়নি সিপিএম। বর্গাদারদের ক্ষতিপূরণ না দেওয়া সিপিএমের বড় ভুল। বর্গাদারের লাঠি মারল আর মমতা ঢুকল সিঙ্গুরে।" শুভেন্দু আরও বলেন, "মুসলিমরা সিপিএমের মিছিলে যাচ্ছে, আর ভোট দিচ্ছে তৃণমূলকে। সিপিএমের ভোটাররা চায় রাজ্যের পরিবর্তন। আমি নন্দীগ্রামের ভোটারদের টেনে নিয়েছি। আমাদের আনুন, টাটা গোষ্ঠীকে ফিরিয়ে আনব।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours