Abhishek Banerjee: কনভয় আটকে অভিষেকের কাছে নালিশ! সাসপেন্ড বুথ সভাপতি, শো-কজ দুই নেতাকে

Abhishek Banerjee: তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে দল না করার ফতোয়া অভিষেকের
Abhishek_Banerjee_(14)
Abhishek_Banerjee_(14)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সব সময় বলে থাকেন, বুথের কর্মীরাই আমাদের সম্পদ। তাঁদের গুরুত্ব দিতে হবে সবার আগে। অভিষেকের এসব কথা টিভির পর্দায় শুনে মোহিত হয়ে গিয়েছিলেন ঘাটালের মূলগ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি শেখ সোলেমান আলি। দলে গুরুত্ব না পাওয়া প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলুইয়ের অনুগামী হিসাবে পরিচিত সোলেমান আশা করেছিলেন, কোনওভাবে অভিষেকের কাছে গিয়ে নিজের কষ্টের কথা বলতে পারলে বিহিত একটা হবেই। সেই মতো অভিষেকের কনভয় আটকে দল করতে না পারার কষ্টের কথা বলতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, গাড়ি থামিয়ে অভিষেক (Abhishek Banerjee) সকলের সামনে যেভাবে তাঁকে অপমান করেছেন, তা মনে করলে তিনি আঁতকে উঠছেন। যদিও অভিষেকের কনভয় চলে যাওয়ার পর পরই ব্লক নেতৃত্ব আর সময় নেয়নি। তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। একইসঙ্গে তাঁর সঙ্গে আরও দুই তৃণমূল নেতাকে শো-কজ করা হয়েছে।

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

২৮ মে রাত সাড়ে নটা নাগাদ ঘাটালের বীরসিংহ থেকে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় ঘাটালেরই বিদ্যাসাগর হাই স্কুল মাঠের তাঁবুতে যাচ্ছিল। জলসরায় চন্দ্রকোণা-ঘাটাল রাজ্য সড়কে অভিষেকের কনভয়ের সামনে ঝাঁপ দিয়ে তা আটকানোর চেষ্টা করা হয়। এমনকী কনভয়ের সামনে শুয়ে পড়ে ঘাটাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ মাঝির বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে তাঁকে সরানোর দাবি তোলেন দলেরই তিন নেতা। দিলীপ মাঝি পদে থাকলে দল ডুববে, তাঁকে সরিয়ে প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলুইকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি তোলা হয়। ঘাটালের মূলগ্রাম বুথের সভাপতি শেখ সোলেমান আলি, বীরসিংহ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক শেখ আবদুল রশিদ ও ঘাটাল ব্লক তৃণমূলের আইটি সেলের কর্মী দীপঙ্কর ঘোষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে। তাঁদের চিত্কারে কনভয় দাঁড়িয়ে যায়। গাড়ির কাচ নামিয়ে অভিষেক তাঁদের ডাকেন। তাঁদের নাম-পরিচয় জানতে চান তিনি। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, "প্রকৃত তৃণমূল কর্মী এইভাবে গাড়ি আটকে ক্ষোভ প্রকাশ করে না, এসব দলে চলবে না। এভাবে লবিবাজি মেনে নেওয়া হবে না।" দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সোলেমান সাহেবকে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। ২৮ মে রাতেই অভিযুক্ত বুথ সভাপতি শেখ সোলেমান আলিকে সাসপেন্ড করা হয় এবং বাকি দুজনকে শো-কজ করা হয় বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়।

কী বললেন সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতা?

সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতা শেখ সোলেমান আলি বলেন," সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে, হাতে কোনও চিঠি পাইনি। অঞ্চলের প্রধানের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তিনি আমাকে জানিয়েছেন।" সাসপেন্ড হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি হয়তো কিছু ভুল করেছি, তাই সাসপেন্ড করেছে। আমি ৯৮ সাল থেকে দল করি। সাসপেন্ড করেছে ঠিক আছে, কিন্তু দলকে ভোট দিতে পারবো তো! দলের ব্লক সভাপতি দিলীপ মাঝির বিরুদ্ধে আমি কিছু বলিনি। কনভয় আটকে অন্য কেউ বলতে পারে, সেই ঝড় হয়তো আমার উপর এসে পড়েছে।"

কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

এবিষয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আশিস হুদাইত বলেন, "মূলগ্রামের বুথ সভাপতি শেখ সোলেমান আলি সহ কয়েকজন নেতৃত্ব ঘাটালের জলসরায় অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় আটকানোর চেষ্টা করে কিছু কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। যা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের সমান। দলের ওইসব নেতৃত্ব দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য ইচ্ছা করে মনগড়া কথা বলার চেষ্টা করেছে। দলের যে স্তরে জানানোর দরকার, সেখানে না জানিয়ে একেবারে জনসমক্ষে দলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো তাই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বাকিদেরও শো-কজ করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে জবাব না দিলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles