মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার মাধ্যমিকে বাজমাত করল উত্তরবঙ্গ। মাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে প্রথম হয়েছে কোচবিহারের (Cooch Behar) রামভোলা হাই স্কুলের ছাত্র চন্দ্রচূড় সেন। বৃহস্পতিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে প্রথম স্থানাধিকারী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন কোচ বিহারের সেন পরিবার। পাড়া প্রতিবেশীর সঙ্গে স্কুলের শিক্ষকরাও তাঁর বাড়িতে হাজির হয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান।
সত্যজিৎ রায়ের লেখা বই পড়তে ভালোবাসে চন্দ্রচূড় (Cooch Behar)
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চম শ্রেণি থেকে চন্দ্রচূড় রামভোলা স্কুলে (Cooch Behar) পড়ে। স্কুলে বরাবরই ও ভাল ফল করত। এছাড়া ছোট থেকেই আবৃত্তি, গল্পের বই পড়া, তাৎক্ষণিক বক্তৃতার সঙ্গেই চলত পড়াশোনা। আর সে মাধ্যমিকে ৭০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে ৬৯৩। চন্দ্রচূড়ের মা মৌসুমী সেন ছেলের এই রেজাল্ট শুনে আনন্দে আত্মহারা। তিনি বলেন, "ছেলের ৯ জন গৃহ শিক্ষক ছিলেন। তবে, ওর বাঁধাধরা সময় ছিল না পড়াশোনার। যখন ভাল লাগত তখন ও পড়ত। আমরা পড়াশুনার জন্য বলতাম না। তবে, ও প্রতিটি ক্লাসে পরীক্ষার দেওয়ার পর যে নম্বর পাওয়ার কথা বলত, সেই নম্বরই ও পেত। এবার ও রাজ্যের মধ্যে স্থান করার কথা বলেছিল। আমরাও আশা রেখেছিলাম। তবে, রাজ্যের মধ্যে ছেলে প্রথম হওয়ায় খুব ভাল লাগছে। ছেলে ক্রিকেট খেলা ভালোবাসে। বিরাট কোহলি প্রিয় খেলোয়াড়। সত্যজিৎ রায়ের লেখা বই ছেলে খুব পছন্দ করে।" রামভোলা স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, "ছোট থেকেই ও পড়াশুনায় ভাল। ফলে, ও যে ভাল রেজাল্ট করবে তা আমাদের আশা ছিল। ও শুধু নিজের পরিবারকে নয় আমাদের রামভোলা স্কুলকে এবং সমগ্র কোচবিহারবাসীকে গর্বিত করেছে। তাই, টিভিতে ওর খবর শুনেই বাড়িতে আমি ওকে শুভেচ্ছা জানাতে চলে আসি।"
ভবিষ্যতে নিট ইউজি-তে উত্তীর্ণ হয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখে চন্দ্রচূড়
প্রথম স্থানাধিকারী চন্দ্রচূড় জানায়, " ভীষণ ভালো লাগছে সকলের প্রত্যাশার রাখতে পেরেছি। তবে, আরও অনেক পরীক্ষা আগামীদিনে বাকী রয়েছে। ইতিমধ্যেই পড়াশুনো শুরু হয়ে গিয়েছে। আমি যা চাই তাতেই সহযোগিতা করবেন বাবা মা। তাঁরা অত্যন্ত খুশি। আমি বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চাই। আমার মা-বাবাও চান আমি চিকিৎসক হই। সেইস্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগোব।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours