মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan) পৌষমেলার প্লট বুকিংয়ের জন্য চারগুণ ফি নেওয়া হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছিলেন। এটা নিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ ছিল। সেই ক্ষোভের মধ্যে এবার যোগ হল প্লট বুকিং নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ? (Shantiniketan)
পৌষমেলায় শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) পূর্বপল্লির মাঠে প্লট বুকিংয়ে জিএসটি নম্বর ছাড়াই নেওয়া হচ্ছে রাজ্য ও কেন্দ্রের জিএসটি। এছাড়া, পৌষমেলার স্টলের জন্য প্লট বুকিংয়ের টাকা সরকারের কোন খাতে জমা পড়ছে কোন সদূত্তর নেই। অথচ, এই প্রথম পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা করছে রাজ্য সরকার। ২০১৯ সালে শেষবার শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লীর মাঠে হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। তারপর থেকে আর হয়নি মেলা। তবে বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে ২০২১ ও ২২ সালে বিকল্প পৌষমেলা করেছিল রাজ্য সরকার। এবার উপাচার্য হিসাবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হতেই সকলে মনে করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পৌষমেলা করবে। কিন্তু, রাজ্য সরকার মেলা করার জন্য বিশ্বভারতীর কাছে পৌষমেলার মাঠ চেয়ে আবেদন করে। দীর্ঘ টালবাহানার পর মাঠ দেয় বিশ্বভারতী।
ব্যবসায়ীদের কী বক্তব্য?
ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, ২০১৯ সালের পর পূর্বপল্লির মাঠে হচ্ছে পৌষমেলা। তবে এই মেলার আয়োজক রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যের শুরু হয়ে গিয়েছে মেলার স্টলের জন্য প্লট বুকিং। আর এই প্লট বুকিং নিয়ে ব্যপক দুর্নীতি হচ্ছে। আর জিএসটি নম্বর ছাড়াই নেওয়া হচ্ছে জিএসটি। শুধু স্টেট জিএসটি নয়, সেন্ট্রাল জিএসটিও নেওয়া হচ্ছে। অথচ কোনও জিএসটি নম্বর নেই, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। এমনকী, রাজ্য সরকার মেলা করলেও সরকারের কোন খাতে এই প্লট বুকিংয়ের টাকা জমা পড়ছে তার উল্লেখ নেই। ব্যবসায়ীরা যথারীতি জিএসটি নম্বর ছাড়াই জিএসটি দিয়ে প্লট বুক করছে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ডাকবাংলো মাঠে বিকল্প পৌষমেলায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। তারপরেই পূর্বপল্লির পৌষমেলার প্লট বুকিং নিয়ে ব্যবসায়ীরা দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours