মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় যে বামেদের দাপটে ট্যাঁ-ফোঁ করার জো ছিল বাংলায়, এখন সেখানেই কিনা খাবি খাচ্ছে বামফ্রন্ট! রাজ্যে লোকসভার আসন সংখ্যা ৪২ (CPM)। তার মধ্যে ২৩টিতে প্রার্থী দিয়েছিল সিপিএম। বামফ্রন্টের শরিকদলগুলি প্রার্থী দিয়েছিল সাতটি আসনে। সিপিএম যে ২৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল, তার মধ্যে ২১ জন প্রার্থীই জামানত খুইয়েছেন। দলের এই দুর্দিনে জলে গিয়েছে ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এ রাজ্যে সিপিএমের একজন প্রার্থীও জিততে পারেননি। তবে জামানত বাঁচিয়ে মুখরক্ষা করেছেন দুই বাম প্রার্থী।
বৃদ্ধতন্ত্রের তকমা ঝেড়ে ফেলতে নয়া মুখ! (CPM)
দলের গা থেকে বৃদ্ধতন্ত্রের তকমা ঝেড়ে ফেলতে এবার একঝাঁক তরুণ মুখকে প্রার্থী করেছিল বিমান বসুদের দল (CPM)। এঁদের সকলেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তমলুকে বিজেপি প্রার্থী করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর বিরুদ্ধে সিপিএম লড়িয়ে দিয়েছিল পেশায় আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বামেরা বোধহয় ভেবেছিলেন, সমানে সমানে টক্কর হবে। ওমা! কোথায় কী! এই কেন্দ্রে মাত্র ৫.৪১ শতাংশ ভোট পেয়ে জামানত খুইয়েছেন সিপিএমের আইনজীবী প্রার্থী।
বাজেয়াপ্ত জামানত
৫.৬৮ শতাংশ ভোট পাওয়ায় জামানত রক্ষা করতে পারেননি ডায়মন্ড হারবারের সিপিএম প্রার্থী প্রতীক-উর রহমানও। এই কেন্দ্রে হইহই করে জিতে গিয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জামানত খুইয়েছেন যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য এবং শ্রীরামপুরের দীপ্সিতা ধরও। তবে হেরে গেলেও, জামানত বাঁচিয়েছেন মুর্শিদাবাদের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম এবং দমদমের সুজন চক্রবর্তী। রাজনীতি তো বটেই, বয়সেও যাঁরা প্রবীণ। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে সিপিএম। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে এই হার ছিল ৬.৩৩ শতাংশ। সব শরিক মিলিয়ে বামেরা এবার সাকুল্যে ৬.১৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে। উনিশে এই হার ছিল ৭.৫ শতাংশ। ২০১৪ সালে ছিল ১৬.৭২ শতাংশ।
আর পড়ুন: এনডিএ শিবিরে তৎপরতা, সরকার গড়ার প্রস্তুতি সারা, শুক্রবারই রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি পেশ?
জামানত রক্ষা হয়নি বামফ্রন্টের বাকি শরিকদের প্রার্থীদেরও। আরএসপি তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। সিপিআই এবং ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী দিয়েছিল দুটি করে আসনে। এই সাত কেন্দ্রেই জামানত খুইয়েছেন বাম প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও কেন্দ্রে প্রার্থী হতে গেলে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জমা রাখতে হয়। একে জামানত বলে। লোকসভা নির্বাচনে জামানতের পরিমাণ ২৫ হাজার টাকা। কোনও একটি কেন্দ্রে যত ভোট পড়ে, তার এক ষষ্ঠাংশ ভোট পেলে কোনও প্রার্থীর জামানত রক্ষা হয়। না হলে টাকা জমা থাকে নির্বাচন কমিশনে। ফেরত পাওয়া যায় না (CPM)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours