মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী রেশন বন্টন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি হেফাজতে রয়েছেন। একের পর এক দুর্নীতিগ্রস্ত রাইস মিমল মালিক, রেশন ডিলারের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে। এসব ঘটনা নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি উত্তাল, তখন দুয়ারে রেশনে আজব ছবি দেখা গেল মালদার (Malda) পাকুয়ায়। খাদ্য সামগ্রীর বদলে গ্রাহকরা টাকা পাচ্ছেন। সেই টাকা গুনে গুনে দিচ্ছেন খোদ ডিলার নিজেই। দুয়ারে রেশনের এমনই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায় জেলার প্রশাসনিক মহলে।
ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)
গ্রাহকদের সুবিধার্ধে দুয়ারে রেশন চালু করেছে রাজ্য সরকার। এক বছর ধরে মালদাতেও (Malda) সে প্রকল্প চলছে। তবে পাকুয়ায় কামাতিপাড়ায় দুয়ারে রেশনের কোনও চিহ্ন নেই। নেই ফ্লেক্স, ফেস্টুন কিংবা খাদ্য সামগ্রী। রেশন ডিলার বিভা রায়ের ছেলে ঝঙ্কারেশ রায় কর্মীর পাশে দাঁড়িয়ে গ্রাহকদের হাতে হাতে দিচ্ছেন নগদ টাকা। এমনই অভিযোগ গ্রাহকদের। তাঁদের দাবি, রেশনের খাদ্য সামগ্রী আটা,চালের মান খুবই নিম্নমানের। তাই, চাল, আটা খোলা বাজারে বিক্রি করতে দিতে হয়। তবে রেশন ডিলার নিজেই রেশন দোকানে বসে আটা, চালের মূল্য ধরে টাকা দিয়ে দিচ্ছেন। প্রত্যেককে টোকেন দেওয়া রয়েছে। সেই টোকেন নিয়ে ডিলারের কাছে গেলেই মিলছে টাকা। গ্রাহকদের বক্তব্য, আসলে রেশনে যে সামগ্রী দেওয়া হয় তা অত্যন্ত নিম্নমানের। রেশন ডিলার নিজেই তা কিনে নিতে চান। তাই, নিজের সামগ্রী সেখানে বিক্রি করে মূল্য পেয়ে যায়। রেশনে গুণগত মান ভাল দিলে আর আমরা বিক্রি করব না।
কী বললেন রেশন ডিলার?
রেশন ডিলার বিভা রায়ের ছেলে ঝঙ্কারেশ রায় বলেন, নিয়ম মেনেই গ্রাহকদের রেশন সামগ্রী দেওয়া হয়। গ্রাহকদের কাছ থেকে রেশন কেনা কিংবা তাদের টাকা দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। প্রশাসনর পক্ষ থেকে তদন্ত করা হোক।
কী বললেন খাদ্য দফতরের আধিকারিক?
মালদার (Malda) পাকুয়ার কামাতিপাড়ায় ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে যান বামনগোলার ফুড ইন্সপেক্টর মহম্মদ আলমেবাশেরুল। রেশন ডিলারের দোকান এবং গোডাউনেও যান তিনি। তিনি বলেন, রেশনে খাদ্য সামগ্রীর বদলে টাকা দেওয়ার কোনও নিয়ম নেই। গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলেছি। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বলে জানিয়েছেন খাদ্য সরবরাহ দফতরের কর্তারা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours