Commonwealth Games: বড় মঞ্চে আবারও পরাজিত পাকিস্তান! কমনওয়েলথ ক্রিকেটে দাপুটে জয় ভারতের

পর পর দুই ম্যাচ হেরে চাপে বিসমারা। আর ৮ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে গ্রুপ তালিকায় শীর্ষে ভারতের মেয়েরা।
31cric-lead
31cric-lead

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমনওয়েলথ গেমসে ক্রিকেটে পদকের আশা জিইয়ে রাখলেন হরমনপ্রীত কৌররা। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হেলায় হারাল ভারত। বিসমা মারুফদের বিরুদ্ধে ১১.৪ ওভারেই ১০২ রান তুলল ভারত। পর পর দুই ম্যাচ হেরে চাপে বিসমারা। আর ৮ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে গ্রুপ তালিকায় শীর্ষে ভারতের মেয়েরা।

এদিন বৃষ্টির জন্য এজবাস্টনে দেরিতে শুরু হয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের মহিলা দলের ম্যাচ। গত ম্যাচে বার্বাডোজের বিরুদ্ধে হারের পর, ভাগ্য বদলের আশায় ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাক অধিনায়িকা বিসমাহ মারুফ। প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে ম্যাচ শুরু হওয়ায় তা ২০ ওভারের বদলে ১৮ ওভারে অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন: আশা করি এবার একটা সিনেমা দেখার সুযোগ পাবে! অচিন্ত্যর প্রশংসায় মোদি

ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই মেঘনা সিংহ ইরাম জাভেদকে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরিয়ে ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন। তবে মন্থর গতিতে হলেও অধিনায়িকা বিসমা ও মুনিবা দলের ইনিংসকে সামলানোর চেষ্টা করেন। দ্বিতীয় উইকেটে দুইজনে মিলে ৫০ রান যোগও করেন। তবে তারপরেই হার্লিন দেওলের পরিবর্তে এই ম্যাচে সুযোগ পাওয়া স্নেহ রানা বিসমাকে সাজঘরের রাস্তা দেখান। ওই একই ওভারে সেট মুনিবাকেও ফেরান স্নেহ। তিনি ৩২ রানে আউট হন। ম্যাচের রাশ ভারতের দখলে চলে আসে। নির্দিষ্ট ১৮ ওভারে মাত্র ৯৯ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। মুনিবা আলির ৩২ ছাড়া বাকিরা কেউ ২০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেননি। ভারতের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন স্নেহ রানা এবং রাধা যাদব।

আরও পড়ুন: পাঁচদিনের মাথায় ভারতের ছটি পদক কমনওয়েলথ গেমসে! কে কোন পদক পেলেন ছবিতে দেখে নিন

জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রানে পৌঁছতে কোনও বেগই পেতে হয় না ভারতকে। আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেন দুই ওপেনার স্মৃতি মন্ধানা এবং শেফালি বর্মা। বেশি আগ্রাসী ছিলেন সহ-অধিনায়ক মন্ধানা। দুই ওপেনার মাত্র ৫ ওভারেই তুলে নেন ৫২ রান। এর পর ভারতের জয় ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। তাতেও আগ্রাসী মেজাজের কোনও পরিবর্তন হয়নি ভারতের ব্যাটারদের। নেট রান রেট ভাল রাখার লক্ষ্য নিয়ে পাক শাসন অব্যাহত রাখেন তাঁরা। ৯ বলে ১৬ রান করে শেফালি আউট হওয়ার পরেও শুরু ছন্দই ধরে রেখেছিলেন মন্ধানা। সেই মেজাজেই পূর্ণ করলেন অর্ধশতরান। মাঠ ছাড়লেন দলকে জিতিয়ে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ৪২ বলে ৬৩ রান করে। মারলেন ৮টি চার এবং ৩টি ছক্কা।

প্রসঙ্গত, এর আগে পাক ব্রিগেডের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে কুয়ালালামপুরে এবং ২০১০ সালে ব্যাসেটেরেতে যথাক্রমে ২৩ এবং ২০ বল বাকি থাকতে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারত। এ দিন সেই সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেল হরমনপ্রীত কৌররা।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles