মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়া, বারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির পর এবার মালদার (Malda) গাজোলে দিনেদুপুরে ব্যাঙ্কে ডাকাতি (Dacoits) ঘটনা ঘটল। চলল গুলি। সঙ্গে বোমাবাজি। গুলিবিদ্ধ হলেন সমবায় ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার। আর বুধবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়। যদিও পরে পুলিশ ডাকাতদের পিছু ধাওয়া করে। রাস্তায় গুলি বিনিময় হয়। পরে, দুজন দুষ্কৃতী গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের গ্রেফতার করা হয়।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dacoits)
ইতিমধ্যেই ঘটনার হাড়হিম করা সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। তাতেই দেখা যাচ্ছে, একটি সাদা রঙের চারচাকা গাড়ি এসে দাঁড়ায় গাজোলের কেষ্টপুর সমবায় সমিতির ব্যাঙ্কের সামনে। মুহূর্তেই গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে নামে ৮ থেকে ১০ জন দুষ্কৃতী। প্রত্যেকের মুখেই কাপড় বাঁধা। বন্দুক হাতে ঢুকে পড়ে ব্যাঙ্কের মধ্যে। বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। চলে লুটপাট। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীদের (Dacoits) আটকাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন হিসাবরক্ষক যোগেশ্বর মণ্ডল। তাঁর পেটে গুলি লেগেছে। তাঁকে গাজোল স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে। পরে, তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, প্রায় ছ'লক্ষ টাকা লুট করেছে দুষ্কৃতী দলটি। এই ঘটনার পরেই এলাকায় পুলিশের তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। ব্যাঙ্কের এক কর্মী বলছেন, "কেষ্টপুর বাসস্ট্যান্ডে আমাদের সমবায় ব্যাঙ্ক। জনবহুল এলাকা। সেখানে এরকম ঘটনা ঘটল। চরম আতঙ্কিত আমরা। পুলিশের আরও নজরদারি বাড়ানো দরকার।" শুধু ব্যাঙ্কের কর্মী নন, সাধারণ মানুষও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে ব্যবসা, এখন ১১০০ কোটি ডলারের মালিক এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত
পুলিশের সঙ্গে ডাকাত দলের গুলি বিনিময়
পুলিশ সূত্রে খবর, ডাকাতির (Dacoits) পরেই চারচাকা গাড়িতে করে পালিয়েছিল দুষ্কৃতী দলটি। গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে পুলিশ। পিছু ধাওয়া করছে দেখে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিও চালিয়েছিল তারা। এরপর ভাবুক অঞ্চলের মন্দিলপুর এলাকায় গাড়ি রেখে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে তারা। সেই সময়েই গুলি চালায় পুলিশও। একজনের পায়ে গুলি লাগে। আর একজনের কোমরে। গুলি লাগতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তারা। তাদের ওই অবস্থায় ফেলে রেখেই বাকিরা পালিয়ে যায়। ধৃতদের এক জনের বাড়ি মালদার (Malda) চাঁচলে, অন্যজনের গাজোলের কৃষ্ণপুর এলাকায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours