মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট কেলেঙ্কারিতে (TET Scam) ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের ফোনে রহস্যজনক দুই নাম। দুটি নামই সংক্ষেপে। একটি আরকে (RK), অন্যটি ডিডি (DD)। এই দুই রহস্যজনক ব্যক্তির সঙ্গে একাধিকবার চ্যাট হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। প্রশ্ন হল, কে এই আরকে? ডিডি-ই বা কে?
টেট কেলেঙ্কারিতে (TET Scam) গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। অভিযোগ, টেটে সাদা খাতা জমা দেওয়া সত্ত্বেও চাকরি দেওয়া হয়েছে অযোগ্যদের। নিয়ম মেনে প্রকাশ করা হয়নি মেধাতালিকাও। টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল থাকা সত্ত্বেও সকলের নম্বর বাড়ানো হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে মানিককে। স্বজনপোষণের অভিযোগও উঠেছে মানিকের বিরুদ্ধে।
টেট কেলেঙ্কারিতে (TET Scam) মানিককে গ্রেফতার করার পর তাঁর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই মোবাইল ঘাঁটতেই বেরিয়ে এসেছে রহস্যজনক দুই নাম। আরকে এবং ডিডি। এই দুজনের সঙ্গেই চ্যাট করেছেন মানিক। একটি চ্যাটে এও বলা হয়েছে, ফাইনাল লিস্ট তৈরি করে ডিডিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা ইডি দেখেও নিয়েছে। এখানেই ঘনিয়েছে রহস্য। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, এই যে আরকে কিংবা ডিডি নতুবা ইডি এঁরা কে? এঁরা কি পার্টির কেউ নাকি শিক্ষা দফতরের কর্তা? যদি দলের কেউ হন, তাহলে তিনি কে? শিক্ষা দফতরের হলেও, প্রশ্ন এঁরা কে?
আরও পড়ুন : মঙ্গলবার ভোর রাতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য! টেট দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ইডির
মানিক যে টাকা নিয়েছিলেন, সে অভিযোগ সংক্রান্ত মেসেজ আগেই পেয়েছে ইডি। চার্জশিটে তারা উল্লেখ করেছিল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মোবাইল ঘেঁটে একটি মেসেজ পেয়েছে তারা। ওই মেসেজে পার্থকে কেউ বলছেন, মানিক ইজ টেকিং মানি, যা তা ভাবে। অন্য একটি মেসেজে লেখা হয়েছিল, আবারও টাকা নিয়ে করবে, আবার কেস হবে, আবার পার্টি খাস্তা হবে। প্লিজ, এটা দেখুন, লাভ। সেই মেসেজ মানিককেই ফরওয়ার্ড করেছিলেন পার্থ। যদিও মানিকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি পার্থ। অথচ ওই সময় পার্থ ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী আর মানিক ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান। কোনও এক ব্যক্তির সতর্কতা সত্ত্বেও পার্থ কেন মানিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি, সে প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours