মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্পে (Delhi Earthquake) কেঁপে উঠল দিল্লি-সহ উত্তরভারতের বেশ কিছু এলাকা। উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে কম্পন অনুভূত হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুন, পিথোরাগড় ও আলমোড়াও আজ দুপুরের ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। কম্পন এতটাই জোড়ালো ছিল যে অনেকেই ভয়ে বাড়ি এবং অফিসের বাইরে বেরিয়ে আসেন। প্রায় ২৫ সেকেন্ড অনুভূত হয় কম্পন। এখনও অবধি ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর আসেনি।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির মতে, মঙ্গলবার দুপুর ২.২৮ মিনিটে ভূমিকম্প (Delhi Earthquake) হয়েছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৮। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল নেপালের ভূপৃষ্ট থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
Earthquake of Magnitude:5.8, Occurred on 24-01-2023, 14:28:31 IST, Lat: 29.41 & Long: 81.68, Depth: 10 Km ,Location: Nepal for more information Download the BhooKamp App https://t.co/gSZOFnURgY@ndmaindia @Indiametdept @Dr_Mishra1966 @Ravi_MoES @OfficeOfDrJS @PMOIndia pic.twitter.com/y1Ak7VbvFB
— National Center for Seismology (@NCS_Earthquake) January 24, 2023
সম্প্রতি বার বার কেঁপেছে ভারত
এর আগে ৫ জানুয়ারিও দিল্লি-এনসিআরে বেশ জোড়ালো ভূমিকম্প (Delhi Earthquake) অনুভূত হয়েছিল। সেই সময় জম্মু-কাশ্মীরও কেঁপে ওঠে। তখন ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.৯। সেই সময় ভূমিকম্পের উৎস ছিল আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চল।
বছরের প্রথম দিনেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প (Delhi Earthquake) অনুভূত হয়েছিল। পয়লা জানুয়ারি রাত ১১টা ২৮ মিনিটে, মেঘালয়ের নংপোহে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৩.২। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নংপোহ ভূমি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে। এর আগে বছরের শেষে ২৭-২৮ ডিসম্বর রাতে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী থেকে নেপাল পর্যন্ত বেশ কয়েকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রথম কম্পন অনুভূত হয় নেপালের বাগলুং জেলায়। এরপর দ্বিতীয় কম্পন অনুভূত হয় খুঙ্গার আশেপাশে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৩।
আরও পড়ুন: যখন বিশ্বজুড়ে চলছে ছাঁটাই, তখনই স্রোতের বিপরীতে গিয়ে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জোম্যাটোর
প্রসঙ্গত, ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (BIS) ভূমিকম্পের (Delhi Earthquake) ভিত্তিতে গোটা দেশকে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করেছে। দেশের ৫৯ শতাংশই ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। পঞ্চম জোনটি ভূমিকম্পের জন্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক এবং সক্রিয় হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই জোনের রাজ্য এবং অঞ্চলগুলিতে ধ্বংসের সম্ভাবনা সর্বাধিক। পঞ্চম জোনের মধ্যে রয়েছে দেশের ১১ শতাংশ। চতুর্থ জোনে রয়েছে ১৮ শতাংশ। তৃতীয় ও দ্বিতীয় জোনে ৩০ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকি প্রবণ হল চতুর্থ ও পঞ্চম জোনের এলাকাগুলি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours