মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষ্মী হয়েছে রাজধানী দিল্লি। শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যার পর আরও এক হত্যার ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল শহর। দিল্লিতে সৎবাবাকে হত্যা (Delhi Murder) করে দেহ ১০ টুকরো করার অভিযোগে গত সোমবার গ্রেফতার হয়েছেন দীপক দাস ও তার মা পুনম দাস। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে দিল্লি পুলিশ।
ভিডিওতে দেখা যায়, দিল্লির একটি মাঠে প্লাস্টিক ব্যাগ (Delhi Murder) নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন দীপক। কিছুক্ষণ পর ব্যাগটি মাঠ থেকে তুলে নিয়ে আবার হাঁটতে শুরু করেন তিনি। সিসিটিভি ফুটেজে এই দৃশ্য দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই মাঠের মধ্যে তার সৎবাবার কাটা মাথা পুঁতে দিতে গিয়েছিলেন দীপক।
আরও পড়ুন: ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ এখনই নয়, কেন বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?
জুন মাসে মায়ের কথায় সৎবাবা অঞ্জন দাসকে হত্যা (Delhi Murder) করেন দীপক। দিল্লির পাণ্ডব নগরের বাসিন্দা ছিলেন তারা। পুনমের দাবি, অঞ্জন তাঁকে না জানিয়েই তাঁর গয়না বিক্রি করে দিয়েছিলেন। গয়না বিক্রির টাকা অঞ্জন তাঁর প্রথম স্ত্রীকে পাঠাতেন। বিহারে আট ছেলে-মেয়ে নিয়ে সংসার ছিল অঞ্জনের প্রথম স্ত্রীর। সংসার চালানোর টাকা দিতে অঞ্জন গয়না বিক্রি করেছিলেন বলে অভিযোগ পুনমের।
কী ঘটেছে?
বিষয়টি জানতে পেরেই স্বামীর ওপর রেগে গিয়েছিলেন পুনম। ছেলে দীপকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে অঞ্জনকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন। পুলিশ জানতে পারে,অঞ্জনের পানীয়তে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। অঞ্জন অজ্ঞান হয়ে গেলে তার গলায় কুঠার দিয়ে কোপ মেরে হত্যা (Delhi Murder) করা হয়। সারা রাত ধরে মরদেহ থেকে রক্ত বের হয়ে যাওয়ার পর পরদিন সকালে ছুরি এবং অন্য একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে অঞ্জনের দেহ ১০ টুকরো করা হয়। তারপর সেসব পলিথিনের ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রেখে দেন পুনম ও দীপক। পুলিশ জানিয়েছে, ধারালো অস্ত্রটির খোঁজ মিললেও হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি এখনো পাওয়া যায়নি। দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়া দেহের অংশের ছয়টি টুকরা খুঁজে পেয়েছে পুলিশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours