মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালের নোটবন্দির (Demonetisation) সিদ্ধান্ত সুবিবেচনা প্রসূত। এটি একটি বড় পরিকল্পনার অংশ। জাল নোট, কালো টাকা (Black Money), কর ফাঁকি এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন রুখতে করা হয়েছিল নোটবন্দি। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জানাল কেন্দ্র।
নোটবন্দি...
২০১৬ সালে নোটবন্দির (Demonetisation) সিদ্ধান্ত নেয় নরেন্দ্র মোদির সরকার। কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তের জেরে বাতিল হয়েছিল দেশের সমস্ত ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট। নোটবন্দির জেরে এটিএম, ব্যাঙ্কে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তির শিকার হন রাজ্যবাসীর একটা বড় অংশ। সমস্যায় পড়েন বহু সাধারণ মানুষ। এটিএম, ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে গিয়ে অসুস্থতার জেরে কয়েকজনের মৃত্যু হয় বলেও অভিযোগ উঠেছিল। কালো টাকা উদ্ধারের জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে তখন সাফাই দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রর তরফে। নোটবন্দির (Demonetisation) জেরে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছিলেন বিরোধীরাও। নোটবন্দির সিদ্ধান্ত দেশের সব চেয়ে বড় অপরাধ বলে দাবি করেছিলেন তাঁরা। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় ৫৮টি মামলা। ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুর এই মামলাগুলিকে পাঠিয়েছিলেন সাংবিধানিক বেঞ্চে।
আরও পড়ুন: ‘… আমাদের মনোভাব বদলানো প্রয়োজন’, প্রধান বিচারপতি কেন বললেন একথা, জানেন?
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর, কেন্দ্রীয় সরকার পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার সমস্ত নোট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের হওয়া একাধিক মামলার একত্রে শুনানি চলছিল। তাতে নোটবন্দির (Demonetisation) পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অত্যন্ত সচেতনভাবেই। তারা এও জানিয়েছিল, এনিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনাও হয়েছিল। নোটবন্দি হওয়ার আগে এ ব্যাপারে নানা প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে কেন্দ্র জানায়, নোটবন্দির এই সিদ্ধান্ত একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অঙ্গ। জাল নোট, কালো টাকা, কর ফাঁকি এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থ মদত রুখতে করা হয়েছিল নোটবন্দি। এদিন যে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছে, সেই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি এসএ নাজির, বিআর গাভাই, এএস বোপোন্না, ভি রামসুব্রহ্মনিয়ম এবং বিভি নাগারাথনা। ২৪ নভেম্বর ফের শুনানি হবে এই মামলার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours