মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই পুজো, কিন্তু ডেঙ্গির ভয়াবহতা কমছে না। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue Death) নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রত্যেক দিন এই মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও ঘটছে। অথচ প্রশাসনের হুঁশ নেই। সরকারের স্বাস্থ্য দফতর এবং পুরসভাগুলি কার্যত মুখে কুলুপ দিয়ে বসে রয়েছে বলে অভিযোগ। ডেঙ্গিতে মৃত্যু নিয়ে কোনও বক্তব্য যেমন নেই, তেমনি রোগ সংক্রমণ নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিষ্ক্রিয়। নেই কোনও সামজিক দায়িত্ব। তাই সাধারণ মানুষ অসন্তোষ প্রকাশ করছে প্রশাসনের নিরুদ্ধে।
গত ৫ অক্টোবর নদিয়ায় মাত্র পনেরো বছরের এক কিশোরের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়। বিষয়টি গতকাল প্রকাশ্যে এসেছিল। ইতিমধ্যে আজ মুর্শিদাবাদে আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। রাজ্য জুড়ের ডেঙ্গির থাবায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়ে বার বার উঠছে প্রশ্ন।
মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গিতে মৃত্যু (Dengue Death)
মুর্শিদাবাদের সুতি দফাহাট এলাকায় ডেঙ্গিতে (Dengue Death) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বছর ৫০-এর আরতি সাহা নামে এক গৃহবধূর। জানা গেছে, গত ৩ দিন আগে শরীরে অসহ্য ব্যথা ও জ্বর নিয়ে আরতি সাহাকে মহিশাইল ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে পরিবার। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রক্ত পরীক্ষার পর ধরা পড়ে ডেঙ্গি পজেটিভ। কিন্তু রোগীর অবস্থার অবনতি হতেই গতকাল স্থানান্তরিত করা হয় জঙ্গিপুর হাসপাতালে। এরপর গভীর রাতে চিকিইসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। এখনও শরীরে জ্বর ও ব্যথা নিয়ে মহিশাইল ব্লক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন গ্রামের বেশ কিছু মানুষ। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ফলে পুজোর আগে নতুন ভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লেও হেলদোল নেই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের। দেখা মেলেনি প্রশাসনের কোনও জনপ্রতিনিধিদের। তাই এলাকার মানুষ শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
নদিয়ায় কিশোরের মৃত্যু ডেঙ্গিতে
সূত্রে জানা গেছে, নদিয়ার গাংনাপুরে পশ্চিম গোপীনগরের বাসিন্দা রনি দেবনাথের মৃত্যু হয় ডেঙ্গিতে (Dengue Death)। গত ৩ অক্টোবর তার ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। শরীরে সেই সঙ্গে ছিল প্রচুর জ্বর। অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে চাকদা, এরপর বনগাঁ হাসপাতাল এবং শেষে বেলেঘাটা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। প্লেটলেট নামতে থাকায় শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যায়। আর এরপর মৃত্যু হয় তার।
বেসরকারি সূত্রে খবর
বেসরকারি সূত্রে জানা গেছে, গত জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ৫০ হাজার জন মানুষ রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৮। অধিকাংশ পুরসভা কোনও রকম হেল্প লাইন প্রকাশ করেনি। ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মীদের বদলে নতুন কর্মী নিয়োগ করেনি। ফলে ডেঙ্গি প্রতিরোধে লোকের অভাবে সঠিক ভাবে কাজ হচ্ছে না। প্রশাসনও সঠিক দায়িত্ব পালন করছে না বলে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours