Jharkhand: শাল-মহুয়া-পলাশের ঘন অরণ্য, দূরে পাহাড়ের শ্রেণি, ঘুরে আসুন প্রজাপতির দেশে!

Maromar Forest: মারোমারের অরণ্য ও ঝর্ণার মাঝে অনায়াসে কাটিয়ে দিতে পারেন দুটো দিন
Jharkhand_(1)
Jharkhand_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরণ্য যাঁদের প্রথম প্রেম, অখণ্ড নির্জনতা, পাখির কূজন আর পাহাড়ের বুক চিরে আদিবাসী কিশোরীর প্রাণবন্ত চপলতায় নেমে আসা ঝর্ণা যাঁদের হৃদয়ে, তাঁদের কাছে অন্যতম সেরা গন্তব্য হয়ে উঠতে পারে ঝাড়খণ্ডের লাতেহার জেলার এক অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান মারোমার (Jharkhand) আর আঁকশি। বেতলা জাতীয় উদ্যান থেকে নেতারহাট যাওয়ার পথে পড়বে মহুয়াডার। এই মহুয়াডার থেকেই রাস্তা ভাগ হয়ে গিয়েছে। একটি রাস্তা চলে গিয়েছে নেতারহাট, অপর রাস্তাটি ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে এবড়ো-খেবড়ো, আঁকা-বাঁকা রুক্ষ পাথুরে পথ বেয়ে চলে গিয়েছে মারোমারের দিকে। চারদিকে শাল, মহুয়া, পলাশ, শিমুলের ঘন অরণ্য, দূর থেকে দেখা যায় পাহাড়ের শ্রেণি, এরই মাঝে অবস্থান এই মারোমারের। মারোমার যেন শিল্পীর ক্যানভাসে আঁকা এক ছবি, স্থানীয় মানুষের ভাষায় যা বেশি পরিচিত মারুমার নামে।

প্রজাপতির দেশ (Jharkhand)

এখানকার বন বাংলোটিতে বসে বসেই কাটিয়ে দেওয়া যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এখানে দেখা মেলে বিভিন্ন প্রজাতির প্রজাপতির। তাই অনেকেই একে প্রজাপতির দেশ বলে থাকেন। বাংলোর পাশেই পাহাড়। পাহাড়ের বুক চিরে নেমে এসেছে একটি অপূর্ব সুন্দর ঝর্ণা। নাম, মিরচাইয়া ফলস। উত্তর কোয়েল নদীর জলধারা থেকে সৃষ্ট মিরচাইয়া ফলস প্রায় ১০০ ফুট উঁচু থেকে পাথরের বুকে ধাক্কা খেতে খেতে নেমে এসেছে নীচে। এই অপরূপ সৌন্দর্যকে (Maromar Forest) ভাষায় প্রকাশ করা এক প্রকার অসাধ্য।

সুগা বাঁধ ও আঁকশি 

মারোমার থেকে আরও প্রায় ২০ কিমি দূরে আর একটি দারুণ সুন্দর স্পট 'সুগা বাঁধ'। মারোমার থেকে আর একটু অরণ্য পথে গেলে 'আঁকশি'। এও এক অসামান্য রূপসী স্থান। চারদিকে ঢেউ খেলানো পাহাড়ের শ্রেণি, নিবিড় অরণ্য, নীচ দিয়ে বয়ে চলা নদী, মনপ্রাণ যেন এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। এর কাছেই রয়েছে উলফ স্যাংচুয়ারি। এখানকার অরণ্যে বাস হরিণ, বুনো শুকর, শজারু, হায়না, বন্য কুকুর, যাদের স্থানীয় ভাষায় বলে 'ঢোল'। আছে অজস্র বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, আর আছে দামাল হাতির পাল। তবে মারোমারের (Jharkhand) পর থেকে আর সহজে হাতির দেখা মেলে না।

অবস্থান, যাতায়াত, থাকা-খাওয়া (Jharkhand)

বেতলা থেকে মারোমারের দূরত্ব প্রায় ৬০ কিমি। পথ হবে এই রকম, বেতলা-গাড়ু-মহুয়াডার-মারোমার-বারেসাদ-আঁকশি-উলফ স্যাংচুয়ারি।

যাতায়াত-কলকাতা থেকে ডাল্টনগঞ্জ যাওয়ার ট্রেনে (যাচ্ছে শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস, ভূপাল এক্সপ্রেস প্রভৃতি ট্রেন ) এসে নামতে হবে বারাওডি ষ্টেশনে। সেখান থেকে বাকি পথ যেতে হবে গাড়িতে।

থাকা-খাওয়া-এই পথে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভরসা বনবাংলো। এখানেই হতে পারে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা (Maromar Forest)। বুকিং-এর জন্য যোগাযোগ-ডিএফও, ডাল্টনগঞ্জ, অথবা ফোন করতে পারেন ০৯৯৫৫৫২৭৩৭১ নম্বরে। আর গাড়ি বা জঙ্গলে সাফারি করার জন্য যোগাযোগ করা যেতে পারে ০৬২০৬২২০৩১৪ নম্বরে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles