Snoring: ঘুমোলেই জোরে জোরে নাক‌ ডাকেন? কেন এই সমস্যা? কোন রোগের ইঙ্গিত?

ঘুমের সময় নাসিকা-গর্জনে বিরক্ত সবাই? কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 
Snoring_(1)
Snoring_(1)

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

ঘুমিয়ে পড়লেই নাসিকা গর্জন! পরিবারের সকলেই টের পায়, তিনি ঘুমোচ্ছেন! নাকের আওয়াজের চোটে পাশে ঘুমোনোই সমস্যা। এমন হাজার অভিযোগ ওঠে অনেকের বিরুদ্ধে! এ নিয়ে হাসাহাসি, মশকরাও চলে। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘুমিয়ে পড়লেই নাক ডাকা (Snoring) একেবারেই লঘু বিষয় নয়। বরং দীর্ঘদিন এই সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক থাকা জরুরি। না হলে বড় বিপদ ঘটতে পারে।

নাক ডাকার সমস্যা কেন হয়?

চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো রোগ থাকলে নাক ডাকার (Snoring) লক্ষণ দেখা দেয়। ঘুমের সময় ঘাড় এবং গলার পেশি কিছুটা শিথিল হয়ে যায়। অনেকের এই পেশি অতিরিক্ত শিথিল হয়ে যায়। এর ফলে শরীরে ঠিকমতো অক্সিজেন প্রবেশ করতে পারে না। শ্বাসনালী কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকে। আর তার জেরেই নাকের ভিতরে বিকট আওয়াজ হতে থাকে।

কী গুরুতর বিপদ হতে পারে?

চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নাক ডাকা আসলে শরীরে ঠিকমতো অক্সিজেন প্রবেশ হতে না পারা। শ্বাসনালীতে অক্সিজেন ঢুকতে না পারার জেরেই এমন আওয়াজ হয়। আর তার জেরে হৃদপিণ্ড, মস্তিষ্ক সহ শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। শরীরের সমস্ত অঙ্গে ঠিকমতো অক্সিজেন সরবরাহ না হলে তার কার্যকারিতা কমতে থাকে। রাতে যদি এই অক্সিজেন সরবরাহ প্রক্রিয়া বাধা‌ পায়, তাহলে মস্তিষ্কের একাধিক অংশ সক্রিয় থাকতে পারে না। এর ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। পাশপাশি শরীরের সব অঙ্গে ঠিকমতো অক্সিজেন সরবরাহ না হলে হৃদপিণ্ডে বাড়তি চাপ পড়ে। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ও কয়েকগুণ বাড়ে। 
নাক ডাকার অতিরিক্ত সমস্যা বা স্লিপ অ্যাপনিয়া থাকলে হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনি অনুভব হতে পারে। এর জেরে হৃদকম্পন হঠাৎ বেড়ে যায়। ফলে, রক্তচাপের ওঠানামার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এছাড়াও শ্বাসনালী এবং নাকের ভিতরে একাধিক স্নায়ুতেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
একাধিক আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নাক ডাকার সমস্যা (Snoring) থাকলে, রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না। অধিকাংশ সময়েই তাঁরা ক্লান্ত অনুভব করেন। এর জেরে তাদের কাজ করার ক্ষমতা কমে। এছাড়া, দূর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যায়। পাশপাশি দেখা দেয় অবসাদ। যে কোনও কাজে তাদের আগ্রহ কমে। খিটখিটে স্বভাব দেখা দিতে পারে। কারণ, মস্তিষ্ক ক্লান্ত থাকে। ফলে, যে কোনও বিষয়ে সব সময়  ঠিকমতো প্রতিক্রিয়া দিতে পারেন না।

কাদের বিপদ বেশি?

কম বয়সী থেকে প্রৌঢ়, যে কোনও মানুষের এই সমস্যা (Snoring) হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে স্থূলতার সমস্যা থাকলে এই ধরনের বিপদ আরও বাড়ে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহের অতিরিক্ত ওজন হলে পেশির একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। যেহেতু এই সমস্যা পেশি সংক্রান্ত। তাই স্থূলতার সমস্যা থাকলে স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো সমস্যা বাড়ে।

এই রোগের কি চিকিৎসা সম্ভব?

চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘুমোলে অস্বাভাবিক নাকের আওয়াজ হলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। বরং প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসা জরুরি। প্রথম থেকে সতর্ক হলে বড় বিপদ (Snoring) এড়ানো‌ সম্ভব বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, একাধিক শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যায় আক্রান্তের স্লিপ অ্যাপনিয়া কতখানি গুরুতর।‌ ঘুমের মধ্যে চোখের নড়াচড়া, শ্বাসনালীর সক্রিয়তা পরীক্ষার পদ্ধতি রয়েছে। সেই মাপকাঠির নিরিখেই চিকিৎসকেরা ওষুধের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করেন। এছাড়াও রয়েছে একাধিক শারীরিক কসরত, যা নিয়মিত করলে রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। বড় বিপদের ঝুঁকিও কমে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles