মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমবিবিএস পাশ করার পরে তাঁর বেতন ছিল ৯ হাজার টাকা। বর্তমানে তিনি একজন প্রখ্যাত নিউরোলজিস্ট। এখন তিনি একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত। প্রথম জীবনে তাকে কীভাবে দিন কাটিয়েছেন তাই জানিয়ে সম্প্রতি একটি ট্যুইট করেন তিনি। তা রীতিমতো ভাইরাল। তাঁর এই পোস্টটির ভিউ ৭২ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।
Agree with you.
— Dr Sudhir Kumar MD DM (@hyderabaddoctor) April 4, 2023
I was also a young practitioner 20 yrs back. My salary 4 yrs after DM Neurology (2004) was Rs 9000/month. This was 16 yrs after joining MBBS. At CMC Vellore, by observing my professors, I realized that doctor's life should be frugal & learnt to live with bare… https://t.co/IPnJKoIixs
মিতব্যয়ী হওয়া উচিত
ট্যুইটে একজন চিকিৎসকের জীবনে মিতব্যয়ী হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন সুধীর কুমার। ট্যুইট বার্তায় সুধীর বলেন, '২০ বছর আগে তিনি একজন তরুণ চিকিৎসক। ২০০৪-এ নিউরোলজিতে ডিএম করার পরে তাঁর বেতন ছিল মাসে নয় হাজার টাকা। এই ঘটনাটি এমবিবিএস পাশ করার পরের। সিএমসি ভেলোরে নিজের অধ্যাপকদের দেখার পরে তাঁর মনে হয়েছিল চিকিৎসকদের জীবন মিতব্যায়ী হওয়া উচিত, ন্যূনতম জিনিস নিয়ে জীবনযাপন করা উচিত।'
কষ্ট করে পড়াশোনা
ট্যুইটেই তিনি জানান, যখন সংগ্রাম করছেন, সেই সময় সমাজসেবা করা একজন তরুণ চিকিৎসকের পক্ষে কঠিন কাজ। সুধীরের কথায়, তাঁর মা কম বেতন নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন। তিনি নিজে বেতন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলেও মা সরকারি অফিসের করণিকের সমান বেতনে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। বর্তমানে বিখ্যাত এই নিউরোলজিস্ট বলেছেন, প্রথমে ১২ বছর স্কুলে পড়াশোনা, তারপরে ১২ বছর ধরে এমবিবিএস, এমডি এবং ডিএম। সেই সময় জুড়ে মায়ের ভালবাসা এবং যন্ত্রণা সবই দেখেছেন তিনি। পড়াশোনা যখন করেছেন, তখন দীর্ঘদিন কারও সঙ্গে দেখা হয়নি। ১৭ বছর বয়সে বিহার থেকে তামিলনাড়ুর ভেলোরে ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলেন ট্রেনের দ্বিতীয় শ্রেণিতে। যখন এমবিবিএস পড়েছেন ৫ বছর, কেউ তাঁকে দেখতে আসেনি। বাড়ির আর্থিক পরিস্থিতি ভাল ছিল না। এমবিবিএস-এ ভর্তির পর পাঁচ বছরের বেশি সময় নিজের সব কিছু নিজেই জোগাড় করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ১৮ মাসে ১০৮ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফের আগের চেহারায় মুকেশ-পুত্র, রহস্যটা কী ?
নিজের পড়ুয়া জীবনের কথা বলতে গিয়ে সুধীর কুমার বলেছেন, পুরো এমবিবিএস-এর সময় দু-সেট জামা-কাপড় ছিল। সিনিয়রদের থেকে পুরনো সংস্করণের বই ধার করে পড়তেন। লাইব্রেরিতে গিয়ে নতুন সংস্করণের বইয়ের সাহায্য নিতেন। রেস্টুরেন্ট কিংবা সিনেমা হল কোথাও যেতেন না। কোনও দিন ধূমপান কিংবা মদ খাননি। তাঁর জীবনের নানান গল্প ট্যুইট করে সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চেয়েছেন সুধীর। তাঁর কাহিনী সকলের নজর কেড়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours