মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Presidential Election) শেষমেশ দ্রৌপদী মুর্মুকেই (Droupadi murmu) প্রার্থী করল এনডিএ (NDA) জোট। ওড়িশার প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী দ্রৌপদী সে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। মোদি (Modi) সরকারের আমলে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল পদেও ছিলেন তিনি।
জুলাই মাসের ১৮ তারিখে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এনডিএর তরফে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঠিক করতে মঙ্গলবারই বৈঠকে বসেন বিজেপি নেতৃত্ব। সকাল থেকে বেঙ্কাইয়া নাইডুর নাম ভেসে বেড়ালেও, একেবারে শেষ মুহূর্তে ঘোষণা করা হয় দ্রৌপদীর নাম। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন, এনডিএ শরিকদের সঙ্গে আলোচনায় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ২০ জনের নাম এসেছিল। শেষ পর্যন্ত সর্বসম্মতভাবে চূড়ান্ত হয়েছে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম।
আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা
দ্রৌপদীর জয়ের পথ সুগম বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। কারণ ভোটমূল্যের প্রাথমিক হিসাবে কংগ্রেস-তৃণমূল-বাম সহ ১৮টি বিরোধী দলের প্রার্থী যশবন্ত সিনহার তুলনায় বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন দ্রৌপদী।
[tw]
Congratulations Smt #DraupadiMurmu on being announced as candidate of NDA for the country’s highest office. I was delighted when Hon’ble PM @narendramodi ji discussed this with me. It is indeed a proud moment for people of #Odisha.
— Naveen Patnaik (@Naveen_Odisha) June 21, 2022
[/tw]
রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী কুড়ি জনের নাম এনডিএর বৈঠকে উঠে এলেও, দ্রৌপদীই যে বিজেপির তুরুপের তাস হতে চলেছেন, সে ইঙ্গিত দিয়েছিল মাধ্যম। রাজনৈতিক মহলের মতে, দলিত নেতা রামনাথ কোবিন্দের পরে আদিবাসী সম্প্রদায়ের দ্রৌপদীকে প্রার্থী করে এবার বিজেপি বিরোধী জোটকে টেক্কা দিল গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদের লড়াইয়ে মুখ ফেরালেন মমতার তিন প্রার্থীই
ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার রায়রাংপুর কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক দ্রৌপদী। পেশায় শিক্ষিকা দ্রৌপদীর রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়েছিল রায়রাংপুর পুরভোটে জিতে। অনুন্নত এলাকায় বেড়ে ওঠা। দ্রৌপদীর ছোটবেলা কেটেছে দারিদ্রের মধ্যে। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বেড়ে উঠেও চালিয়ে গিয়েছেন পড়াশোনা। ভুবনেশ্বরের রামদেবী মহিলা কলেজ থেকে স্নাতক হন। স্বামী শ্যামচরণ মুর্মু মারা যাওয়ার পর কিছুদিন কাজ করেছিলেন সেচ দফতরের কেরানি হিসেবে। পরে যোগ দেন শিক্ষিকার পদে। তারও পরে যোগ দেন রাজনীতিতে। তার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বেড়া ওঠা দ্রৌপদীকে। ২০০০ ও ২০০৪ সালের বিধানসভা ভোটে জিতে নবীন পট্টানায়েকের নেতৃত্বে বিজেডি-বিজেপি জোট সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে ওড়িশার সেরা বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। ২০১৫ সালের মে মাস থেকে ২০২১ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালও ছিলেন দ্রৌপদী।
বিজেপি বিরোধী শিবিরে মূলত তিনজনের নাম উঠে এসেছিল রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে। এঁরা হলেন, এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল কংগ্রেসের গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। তিনজনেই রাষ্ট্রপতি পদের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তার পরেই চূড়ান্ত হয় যশবন্তের নাম। এদিকে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটাভুটি এড়াতে চেষ্টা করেছিলেন বিজেপির রাজনাথ সিং। বিরোধীদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করলেও, তা ব্যর্থ হয়। তাই এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে ১৮ জুলাই সম্মুখ সমরে নামতে চলেছেন দ্রৌপদী মুর্মু ও যশবন্ত সিনহা।
রাইসিনা হিলসে শেষমেশ কে পৌঁছান, তা বলবে সময়।
+ There are no comments
Add yours