Firecrackers: লাগামহীন বাজির জেরে উৎসবের মরশুমে সিওপিডি-র সমস্যা বেড়েছে কয়েকগুণ!

সিওপিডি কী? শব্দবাজির জেরে কী বিপদ হতে পারে? কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব?
Firecrackers_(1)
Firecrackers_(1)

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

উৎসবের মরশুমে প্রশাসনের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন আগেই উঠেছিল। এবার সেই প্রশ্ন আরও জোরালো হল ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজের (সিওপিডি) সমস্যা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দীপাবলির পরেই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আর এতেই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

কী বলছেন চিকিৎসকরা? 

চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দুর্গাপুজোর পর থেকেই সর্দি-কাশির সমস্যায় অনেকে ভুগছিলেন। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু দীপাবলির পরে সিওপিডি-র সমস্যা আরও বেশি দেখা যাচ্ছে। কলকাতা ও তার আশপাশের জেলায় এই রোগীর ভোগান্তি বাড়ছে। কলকাতার অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। এরপরে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হতে পারে।

কেন পরিস্থিতি বিপজ্জনক হতে পারে? 

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সিওপিডি হল ফুসফুসের একাধিক সমস্যা। যার জেরে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। দীপাবলির সময় কলকাতা ও তার আশপাশের জেলায় অবাধে বাজি পোড়ানো হয়েছে। শব্দবাজি, আলোবাজির ধোঁয়ার জেরে বাতাসে দূষণের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে একাধিক শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হচ্ছে। যাদের ধারাবাহিক সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে ফুসফুসের ধারাবাহিক সমস্যা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। কারণ, শীতে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে যায়। তার উপর বাজির দাপট পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। বিশেষত যাদের সিওপিডি রয়েছে, তাদের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। 
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, শিশুদের বিশেষ যত্ন জরুরি। যে সব শিশুরা হাঁপানির সমস্যায় ভোগে কিংবা যারা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে, তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। শ্বাসকষ্ট জনিত কোনও রকম সমস্যা হলেই অবহেলা করা যাবে না। প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।

কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব? 

চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, এই পরিস্থিতিতে যাদের সিওপিডি-র সমস্যা রয়েছে, মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। যাদের বাতাসের অতিরিক্ত ধোঁয়া আর ধূলিকণার জন্য বাড়তি সমস্যা তৈরি না হয়। পাশাপাশি সর্দি-কাশিতে যাতে ভোগান্তি না বাড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, সর্দি-কাশি সিওপিডি-র রোগীর বিপদ বাড়ায়। 
ফুসফুস সুস্থ রাখতে খাবারেও খেয়াল রাখতে হবে বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাই তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত আপেল খাওয়া দরকার। আপেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। খনিজ থাকে। ফলে, ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কলা নিয়মিত খেলে সিওপিডি-র রোগীদের সমস্যা কমবে বলেও জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, তাঁরা জানাচ্ছেন, কলাতে থাকে পটাশিয়াম। যা ফুসফুস সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। পেয়ারা আর লেবু জাতীয় ফল নিয়মিত খেলেও বিশেষ উপকার হবে। কারণ, এগুলোতে থাকে ভিটামিন সি, যা ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles