Durga Puja 2023: বারুইপুরের ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজোয় এসেছিলেন তৎকালীন বড়লাট লর্ড ক্যানিং

১৪১ বছরের পুজোয় জমিদারির রীতি মেনে হয়ে আসছে আখ, চালকুমড়ো বলি
Durga_Puja_2023_(29)
Durga_Puja_2023_(29)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমিদারি প্রথা চলে গিয়েছে। কিন্তু আজও জমিদারি প্রথার রীতি বহন করে ১৪১ বছর ধরে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) হয়ে আসছে বারুইপুরের রামনগরের ঘোষবাড়িতে। ইংরেজ আমলে তৎকালীন বড়লাট লর্ড ক্যানিং ছিলেন জমিদার নরেন ঘোষের অতি ঘনিষ্ঠ। তাই ক্যানিং যাওয়ার পথে দুর্গাপুজোয় এসেছিলেন লর্ড ক্যানিং। পুজোয় কয়েক ঘণ্টা সময় কাটিয়েছিলেন তিনি। ছাগ বলি প্রথা বন্ধ হয়ে গেলেও নিয়ম করে আখ, চালকুমড়ো বলি হয়ে আসছে পুজোয়। অষ্টমীর দিন ঘোষবাড়ির পুজোয় নিরামিষ আহার খেতেই ভিড় জমান গ্রামের লোকজন, এমনই বললেন পরিবারের প্রবীণ সদস্য মলয় ঘোষ।

ইংরেজ আমলে ঘোষবাড়িতে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023)

রামনগরের ঘোষ বাড়ির প্রথম জমিদার ছিলেন কৈলাস ঘোষ। তাঁর নামানুসারে বাড়ির নাম কৈলাস ভবন। কৈলাসবাবুর ছেলে নরেন ঘোষ ইংরেজ আমলে ঘোষবাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু করেন। বাড়ির দুর্গা দালানে এখন চলছে প্রতিমা তৈরির জোর প্রস্তুতি। কয়েকদিন পরেই সাজ সাজ রব পড়ে যাবে জমিদার বাড়িতে। কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন ঘোষ পরিবারের সদস্যরা। সবাই পুজোর কয়েকদিন মিলিত হয়ে যান ঘোষবাড়ির দুর্গা দালানে (Durga Puja 2023)। আগে ষষ্ঠীর দিন রাঁধুনি সোনা ঠাকুরের কচু, দেশি চিংড়ির ঝোল রান্না খেতে প্রচুর মানুষের সমাগম হত। অষ্টমীর দিন এখনও নিরামিষ লুচি, ফুলকপির ডালনা খেতে গ্রামের মানুষজন আসেন। তবে সংখ্যা কিছুটা কমেছে। সপ্তমী থেকে দশমী চালকুমড়ো বলি হয়। সন্ধি পুজো দেখতেই আশপাশের গ্রামের মহিলারাও জড়ো হয়ে যান।

বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে পুজো (Durga Puja 2023)

প্রবীণ সদস্য মলয় ঘোষ বলেন, ইরেজ আমলে বারুইপুর থেকে ক্যানিং যাওয়ার রাস্তা ছিল মাটির। তাই ক্যানিং যাওয়ার সময় বড়লাট লর্ড ক্যানিং তাঁর ফিয়ট গাড়ি বাড়ির পিছনে রেখে দিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে ক্যানিং যেতেন। পূর্বপুরুষ নরেন ঘোষের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় দুর্গাপুজোয় তিনি বাড়িতে এসে পুজো দেখেওছিলেন। এছাড়া প্রায় সময়ই ইংরেজ সাহেবরা তাঁদের গাড়ি রাখার জন্য আসতেন বাড়িতে। পরিবারের আর এক সদস্য প্রিয়জিত সেন বলেন, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে আমাদের পুজো (Durga Puja 2023) হয়ে আসছে। জমিদারি প্রথার রীতি মেনেই বিসর্জনের দিন কাঁধে করেই ঢাক ঢোল বাজিয়ে মাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ির পুকুরে। সেই পুকুর হেদুয়ার পুকুর বলে এলাকায় পরিচিত। এই পুকুরেই ইংরেজ সাহেবরাও স্নান করতে আসতেন।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles