Durga Puja 2024: বয়স ৮০ ছুঁই ছুঁই! ঐতিহ্যকে আঁকড়ে পটচিত্র এঁকে চলেছেন কৃষ্ণনগরের রেবা পাল

Krishnanagar: বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুজো উদ্যোক্তারা ছুটে আসেন তাঁর কাছে পটচিত্রর জন্য, কে এই বৃদ্ধা রেবাদেবী?
Krishnanagar
Krishnanagar

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, নারী মানে অসীম ধৈর্যের এক অন্যতম নাম। মহিষাসুরকে বধ করার জন্য যেমন মা দুর্গার আবির্ভাব হয়েছিল, এখনও যুগ যুগ ধরে দেবী দুর্গা রয়েছেন বিরাজমান। হ্যাঁ, এমনই এক নারীশক্তির (Durga Puja 2024) কথা না বললেই নয়। বয়স প্রায় ৭৫ বছরের অনেক বেশি হলেও মনের শক্তি এবং অদম্য ইচ্ছেতে সূক্ষ্ম-নিপুণ কাজের সঙ্গে এখনও পটচিত্র এঁকে চলেছেন নদিয়ার কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণির বক্সিপাড়ার বাসিন্দা রেবা পাল। করেন ভাঙা ঘরে বসবাস। বয়স ৮০ ছুঁই ছুঁই,, স্বামীর কাছ থেকে পটচিত্রের কাজ শেখা, এরপর স্বামী পরলোক গমন করলে সম্পন্ন সংসারের দায়ভার তার কাঁধে এসে পড়ে। আর অন্য কোনও কাজ জানা ছিল না তাঁর। তাই স্বামীর শিল্পকেই ধরে রেখেছেন তিনি।

হাল ছাড়তে নারাজ (Durga Puja 2024)

এরপর সংসারের অনেকটাই হাল ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। প্রত্যেক বছর দুর্গাপুজো আসতেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কাজের বরাত আসত। আর দিনরাত এক করে পটচিত্রর কাজ করতে হত তাঁকে। যত দিন গিয়েছে, ততই তাঁর হাতের কাজের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। এখন বার্ধক্যজনিত কারণে কমেছে দৃষ্টিশক্তি। কিন্তু হাল ছাড়তে নাড়াজ তিনি। তাঁর নিপুণ কাজের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পেয়েছেন শংসাপত্র। এখনও কলকাতা সহ জেলার (Krishnanagar) বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুজো উদ্যোক্তারা ছুটে আসেন তাঁর কাছে, পটচিত্রর জন্য। এক কথা বলা যেতেই পারে, এই বয়সেও এখনও তাঁর লড়াইটা থেমে থাকেনি।

মন ভার রেবা দেবীর (Krishnanagar)

শিল্পী রেবা পালের কথায়, তিনি যতদিন বাঁচবেন, এই শিল্পকে বজায় রাখবেন। কিন্তু এবছর ঠিকঠাক কাজের বরাত না পাওয়ায় অনেকটাই মন ভার রেবাদেবীর। কারণ বলে মনে করছেন, আরজি করেন ঘটনা। বলাই বাহুল্য,, নদিয়ার কৃষ্ণনগর ঘূর্ণির মোড় মাটির প্রতিমা এবং পুতুল তৈরিতে এক খ্যাতনামা জায়গা। মৃৎশিল্পীদের অতুলনীয় প্রতিভা ফুটে ওঠে সূক্ষ্ম কাজে, কম যান না রেবাদেবীও। দিনরাত এক করে পটচিত্র এঁকে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে দেশে-বিদেশে। রেবাদেবী আক্ষেপের সুরে বলেন, বয়স তো অনেক হল, কমেছে দৃষ্টিশক্তি কমছে মনবল। আর পেশির শক্তিও দিন দিন কমতে থাকছে। জানি না ভবিষ্যতে কী হবে (Durga Puja 2024)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো একজন দয়ালু, সরকারিভাবে যদি কিছু আর্থিক সহযোগিতা পেতেন তাহলে হয়তো যেমন বাঁচিয়ে রাখতে পারতেন তাঁর এই শিল্পকে, তেমনি হতে পারতেন আরও হয়তো স্বাবলম্বী।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles