মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার বিএড, ডিএলএড কলেজগুলির বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য শিক্ষা দফতরে আবেদন জানালেন রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা হেমতাবাদের বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন। এতদিন এই সব কলেজগুলি পরিকাঠামো ছাড়াই রমরমিয়ে চলেছে। তাহলে কি কলেজগুলি শাসকদলের নেতাদের একাংশকে কাটমানি দিয়ে ম্যানেজ করে রেখেছিল? তা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ?
উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলায় বিএড এবং ডিএলএড মিলিয়ে ২২টি কলেজ রয়েছে। রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের কাছে পাঠানো মন্ত্রীর লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, জেলার সব বিএড এবং ডিএলএড কলেজে সঠিক পরিকাঠামো নেই। বেশি ফি নেওয়ার অভিযোগ। ভালো শিক্ষক নেই। ঠিকমত ক্লাসও হয় না। এই নিয়ে গোটা জেলার কলেজগুলির নামও উল্লেখ রয়েছে তাঁর অভিযোগপত্রে। তার মধ্যে আটটি কলেজ তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য বিধানসভায় আরও একাধিক এই কলেজ রয়েছে। এই সব কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং তাঁদের অভিভাবকরা মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এবার সেই অভিযোগের তদন্তের জন্যই শিক্ষা দফতরে দরবার করলেন মন্ত্রী।
কী বললেন মন্ত্রী?
শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন বলেন, উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার ২২টি বিএড এবং ডিএলএড কলেজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। খুব শীঘ্রই এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দফতর তদন্ত শুরু করবে। তদন্তে গুণগত মাণ সঠিক না থাকলে কলেজ বন্ধ করে দেব।
মন্ত্রীর তালিকাভুক্ত কলেজের এক অধ্যক্ষ কী বললেন?
মন্ত্রীর অভিযোগপত্রে তালিকাভুক্ত একটি কলেজের অধ্যক্ষ সংঘমিত্রা ঘোষ বলেন, মন্ত্রীর ওই লিখিত অভিযোগপত্রের কথা জানতে পেরেছি। শিক্ষা দফতরের নির্দেশিত সমস্ত পরিকাঠামো আমাদের উপযুক্ত রয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। কেন তিনি আমাদের কলেজের নাম তালিকায় রাখলেন তা জানা নেই। আমরা যে কোনও সময় এই ব্যাপারে তদন্তের জন্য প্রস্তুত আছি। তবে, এই অভিযোগের পিছনে অন্য কারণ রয়েছে বলে আমার ধারণা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours