মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি পেয়েছেন বোন। আর গত ২০ বছর ধরে চাকরি করছেন দিদি। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ভাতারের (Bhatar) সাহেবগঞ্জ-১ পঞ্চায়েতের নুনাডাঙা এলাকায়। জানা গিয়েছে, বিষয়টি সামনে আসতেই চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন অভিযুক্ত মহিলা। এরপরই ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bhatar)
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাতারের (Bhatar) সাহেবগঞ্জ-১ পঞ্চায়েতের নুনাডাঙা শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষিকা হিসাবে নিযুক্ত হন সুজাতা চট্টোপাধ্যায়। সেটা প্রায় ২০ বছর আগে। সুজাতার বয়স এখন ৫৯ ছুঁইছুই। অভিযোগ, তাঁর বদলে এত দিন ধরে চাকরি করছিলেন দিদি সঙ্গীতা ভট্টাচার্য। ৭০ বছরের ওই বৃদ্ধা বোনের চাকরি করতেন এবং তাঁর বেতনের টাকা তুলে আসছেন। ভাতারের কাশীপুর গ্রামে বাড়ি সঙ্গীতার। তিনি বিডিও অফিসে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি একটি কাজে বিডিও অফিস গিয়েছিলেন সঙ্গীতা। সেখানেই ধরা পড়ে এই অনিয়ম। আধিকারিকরা তাঁর কাছে ওই চাকরি সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় কয়েকজন তাঁকে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সঙ্গীতা ভট্টাচার্য এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
ব্লক প্রশাসনের কর্তারা কী বলছেন?
ভাতারের (Bhatar) বিডিও অরুণকুমার বিশ্বাস বলেন, এখন সরকারি কাজকর্মে ‘আপগ্রেডেশন’ চলছে। অনলাইনে নথিভুক্তকরণের সময় সাহেবগঞ্জ-১ অঞ্চলের শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের কর্মীর তথ্যে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, এক জনের নামে নিয়োগ হলেও চাকরি করে আসছিলেন অন্যজন। তাঁকে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বিষয়টি আরও একবার খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে। ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বাসুদেব যশ বলেন, ২০০৪ সালে ওই শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে নিয়োগ হন সুজাতা চট্টোপাধ্যায় নামে এক মহিলা। এখনও সব খাতায় তিনিই ওই শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে কাজ করছেন। এতদিন কেউ বিষয়টি জানত না। এখন প্রশাসনিক তদন্তে ধরা পড়েছে, তাঁর নামে বেতন তুলে যাচ্ছেন শিক্ষিকার দিদি। প্রশাসন নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে। সিপিএম আমলেই এই অনিয়ম হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours