মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দিল ইডির (Enforcement Directorate) বিশেষ আদলত। এসএসকেএমের মেডিক্যাল টিম জানিয়েছে, কালীঘাটের কাকুর শারীরিক অবস্থা অনেকটাই এখন ঠিক। আর তাই এবার অভিযুক্ত কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা দেওয়ার কথা বলে এসএসকেএমকে চিঠি দিল ইডি। ঘটনায় তদন্তের গতি অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে বিরোধী শিবির।
চিঠি দিল ইডি (Enforcement Directorate)
প্রেসিডেন্সি জেলেও চিঠি পাঠিয়েছে ইডি (Enforcement Directorate)। জেলে থাকার সময় কালীঘাটের কাকুর শারীরিক অবস্থা কেমন ছিল, তা জানতে চেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তোলা হয়, কাকু বিচারাধীন বন্দি, কেন এতদিন ধরে এসএসকেএমে রেখে দেওয়া হয়েছে? সম্প্রতি সবটা জানতে জেলেও যায় ইডি। ইতিমধ্যে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর নামে চার্জশিটও পেশ করেছে ইডি। আরও জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ২০ কোটির লেনদেনের সঙ্গে কাকুর আরও ৩ কোটির যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। তাই ফের তদন্তকে আরও গতি দিতে সুজয়কৃষ্ণর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার কথা বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইডি।
ইডির দাবি
ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রের খবর, সোমবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাঠানো চিঠিতে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করার কথা জানানো হয়েছে। উল্লখ্য, এসএসকেএমের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্যের ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির কর্তাদেরকে কালীঘাটের কাকুর গলার স্বরের টেস্টের জন্য ইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা বিচার ভবনের সিবিআই আদালতের বিচারক। ইডির এক কর্তার দাবি, কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি কাচের ঘরের প্রয়োজন। ঘর এমন হবে যাতে ঘরের বাইরে থেকে ভিতরে এবং ভিতর থেকে বাইরে কোনও শব্দ যাবে না। একজন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের উপস্থিতিতে এই নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। আর তাই এসএসকেএমকে এই ঘরের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
দুই মাস ধরে এসএসকেএমে কাকু
স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির (Enforcement Directorate) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। কিন্তু গ্রেফতারের পর থেকেই অসুস্থতার দাবি করেছেন বারবার। ইতিমধ্যে আকস্মিক তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুতে জেল থেকে প্যারোলে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে এসেছিলেন। ঠিক পর পরই আবার অসুস্থ হয়ে এসএসকেএমে বুকে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হন। এরপর অস্ত্রোপচার করার পর বর্তমানে সব মিলিয়ে দুই মাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, তৃণমূলের অনেক বড় বড় নেতা, ইডি কিংবা সিবিআইয়ের হাতে আটক হলেই বার বার এসএসকেএমে ভর্তি হয়েছেন। উল্লেখ্য মদন মিত্র, অনুব্রত মণ্ডল, ববি হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের কাছে এই হাসপাতাল ছিল আশ্রয়ের প্রধান কেন্দ্র। অবশ্য বিজেপির বক্তব্য, তৃণমূলের নেতারা দুর্নীতির তদন্তে গ্রেফতার হলেই এসএসকেএমকে নিরাপদ জায়গা মনে করেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours