মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিনের অতি ভারী বর্ষণে উত্তর সিকিম এবং উত্তরবঙ্গে (North Bengal Disaster) ব্যাপক বিপর্যয় নেমে এসেছে। মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং হড়পা বানে বানভাসি হয়েছে তিস্তা নদী। জলের তোড়ে সিকিমে আরও এক হ্রদে ভাঙন দেখা দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকায়। তিস্তার জল কমতেই বেরিয়ে আসছে নানা হৃদয় বিদারক দৃশ্য।
ময়নাগুড়িতে তিস্তায় ভেসে আসছে দেহ (North Bengal Disaster)
ময়নাগুড়িতে (North Bengal Disaster) তিস্তা নদীর জল দুকূল ছাপিয়ে ভয়াবহ আকার নিলে গ্রামের পর গ্রাম ভাসিয়ে নিয়ে চলে গেছে। সেই সঙ্গে স্থানীয় মানুষের বাড়িঘর, চাষের জমি ইত্যদি ব্যাপক ধ্বংসের শিকার হয়। নদীর জলে ভেসে আসছে বেশ কিছু মৃতদেহ। এখানকার ব্লকের তিস্তার চর ধর্মপুরে হেলাপাকড়ি এলাকা থেকে ৮ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আরও অনেক মৃতদেহ জলে আটকে রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মৃতদেহগুলিকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় সেনাবাহিনী যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি মিলিয়ে ১৮টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এঁদের মধ্যে চারজন সেনাবাহিনীর জওয়ান এবং দুজন সাধারণ নাগরিক। এই সংখ্যা যত সময় যাচ্ছে, বাড়ছে।
সিকিমে ভাঙল আরও এক হ্রদ
সূত্রের খবর, সিকিমের লাচেনের উপরে থাঙ্গু উপত্যকা থেকে ১২৩ কিমি উপরে সাকচু হ্রদের আশেপাশে ব্যাপক বিপর্যয় নেমেছে। হ্রদে দেখা দিয়েছে ভাঙন। আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। সিকিম আবহাওয়া দফতরে স্যাটেলাইটে ছবি ধরা পড়ছে না বলে জানা গেছে। সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি কী হতে পারে তা বলা মুশকিল। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। জলপাইগুড়ির তিস্তা নদী সংলগ্ন এলাকায় সতর্কতা জারি করা করেছে প্রশাসন। মহানন্দা অভয়ারণ্য সংলগ্ন তিস্তার ললটাং, গাজলডোবার (North Bengal Disaster) নিচু এলাকা থেকে অনেক মানুষকে দূরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন দুর্গতরা। আগামী দিনগুলি যে কী হবে, তা ভেবেই পাচ্ছেন না কেউ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours