Europe’s Great Drought: ৫০০ বছরে এমন দিন দেখেনি ইউরোপ! খরার কবলে ফ্রান্স, জার্মান থেকে স্পেন, নেদারল্যান্ডস

৪৭ শতাংশ এলাকা এখন সতর্কতার আওতায় রয়েছে। ১৭ শতাংশ এলাকার অবস্থা খুব খারাপ।
europe
europe

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে ইউরোপের (Europe) বিস্তীর্ণ অংশ। সম্প্রতি আবহাওয়া নিয়ে প্রকাশিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) এক রিপোর্ট বলছে, গত পাঁচশো বছরে এরকম ভয়াবহ খরা দেখেনি গোটা ইউরোপ। মহাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বৃষ্টির দেখা নেই। কোথাও নদী শুকিয়ে মাঠ হয়ে গিয়েছে, কোথাও দাবানলে পুড়ছে বনাঞ্চল আর তার সংলগ্ন বসতি।

পরিবেশবিজ্ঞানীদের আশঙ্কা আগামী কয়েক বছরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জয়েন্ট রিসার্চ সেন্টার-এর তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে,মহাদেশের অন্তত ৪৭ শতাংশ এলাকা এখন সতর্কতার আওতায় রয়েছে। মাটিতে আদ্রতার পরিমাণ  কমছে। ১৭ শতাংশ এলাকার অবস্থা খুব খারাপ। 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে শিখ মহিলাকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও ধর্মান্তকরণ, জয়শঙ্করের হস্তক্ষেপ দাবি

ইউরোপীয় ইনোভেশন কমিশনার মারিয়া গ্যাব্রিয়েল (Mariya Gabriel) জানান, ‘প্রবল খরা পরিস্থিতি ও তাপপ্রবাহের সম্মিলিত কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলির নদীতে জলস্তর ভয়ানক ভাবে নেমে গিয়েছে। এখন আমরা ঘনঘন দাবানল দেখতে পাচ্ছি। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে ফসল উৎপাদনে’।  অতিরিক্ত শুষ্ক আবহাওয়া চাষাবাদের উপরে প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলেছে। সয়াবিন, সূর্যমুখী ও ভুট্টার উৎপাদন ইতিমধ্যেই যথাক্রমে ১৫, ১২ ও ১৬ শতাংশ কমেছে।

আরও পড়ুন: জাগুয়ার ও কুমিরের ভয়ঙ্কর লড়াই! জিতল কে?

খরার ফলে দাবানলের প্রকোপ বাড়ছে। কম বৃষ্টিপাতের জন্য ব্যাহত হচ্ছে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন। দাবদাহের ফলে মানুষের মৃত্যুও হচ্ছে। মূলত ফ্রান্স (France), বেলজিয়াম (Belgium), জার্মানি (Germany), হাঙ্গেরি (Hungery), ইটালি (Italy), লুক্সেমবুর্গ (Luxemburg), মলডোভা, নেদারল্যান্ডস (Netherlands), সার্বিয়া (Serbia), পর্তুগাল (Portugal), ব্রিটেন(Britain) , স্পেন (Spain), রোমানিয়া (Romania), ইউক্রেনে (Ukraine) খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

আবহবিদদের কথায়, চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত পশ্চিম ইউরোপ ও ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় খরা ও তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য বিশ্ব উষ্ণায়নকেই দায়ী করছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে রাতের দিকেও তেমন ঠান্ডা হচ্ছে না, বলে জানান পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles