মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদা বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) জেরা করল এনআইএ (NIA)। বীরভূমের মহম্মদবাজারে জিলেটিন স্টিক উদ্ধারকাণ্ডে তিহাড় জেলে বন্দি সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গরু পাচার কাণ্ডে আপাতত তিহাড় জেলে রয়েছেন সায়গল ও অনুব্রত। সিবিআই, ইডির পর এবার বিস্ফোরকের কারবারিদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এনআইএ-র জেরার মুখে পড়লেন সায়গল।
কেন জেরা
এনআইএ সূত্রের দাবি, বীরভূমের মহম্মদবাজারে জিলেটিন স্টিক-সহ ডিটনেটর উদ্ধারের তদন্তে সায়গল হোসেনকে জেরা করে মিলতে পারে বিভিন্ন তথ্য। ২০২২ সালে মুরারই থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৮১ হাজার ডিটোনেটর। গাড়ির চালককে আটক করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ২৭ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এবং ১ হাজার ৯২৫ কেজি জিলেটিন স্টিক ও আরও ২ হাজার ৩২৫টি ডিটোনেটর উদ্ধার হয়। বিপুল এই বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তভার নেয় এনআইএ। পুলিশের একাংশের মদতে বিস্ফোরক সরবরাহকারীরা ডিটোনেটর-জিলেটিন স্টিক হাত বদল করতেন। তদন্তে এমনই তথ্য পেয়েছে এনআইএ। এই ঘটনায় ধৃতদের জেরা করেই সায়গলের তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি এনআইএর। যে জায়গায় মজুত করে রাখা হয়েছিল ওই ডিটোনেটর, তার মালিক সায়গলের অত্যন্ত ঘনিষ্ট বলেই দাবি এনআইএ-র।
আরও পড়ুন: চার রাজ্যে পিএলএফআইয়ের ডেরায় হানা এনআইএ-র, কী ছক কষেছিল জঙ্গিরা?
এনআইএ-র জিজ্ঞাসাবাদ
২০১০ সালে কনস্টেবল পদে চাকরি পান সায়গল হোসেন। ২০১৬ থেকে অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী হিসেবে সর্বত্র দেখা যেতে থাকে সায়গল হোসেনকে। আর তারপরই তাঁর এই উত্থান। গরু পাচার, কয়লা পাচার-এর পর এবার জিলেটিন স্টিক উদ্ধার। বিস্ফোরকের কারবারিদের সঙ্গেও কি সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) যোগাযোগ ছিল? প্রভাবশালী যোগ ছাড়া কি এই বিস্ফোরকের কারবার চলতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই সায়গলকে জেরা করে এনআইএ। ৫ ঘণ্টা ধরে চলে সেই জেরা-পর্ব।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours