মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সাফল্যের সঙ্গে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) নামিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছে ভারত। বুধবার সন্ধ্যায় মহাকাশ বিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে দেশ। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্ৰ তথা ইসরোর বিজ্ঞানীরা এই অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন। নির্ধারিত দিনে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান-৩। আর এই সাফল্যে সামিল বীরভূমের প্রত্যন্ত গ্রামের বিজয় কুমার দাই। তিনিও চন্দ্রযান-৩ পাঠানোর নেপথ্যে থাকা ইসরোর অন্যতম বিজ্ঞানীদের একজন। আর তাতেই আরও গর্বিত বীরভূমবাসী।
কী বললেন বিজ্ঞানী বিজয় দাইয়ের মা?
বীরভূমের মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রামের দাই পাড়ার তফশিলি দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম বিজয়ের। দারিদ্রতাকে জয় করে তিনি ইসরোর বিজ্ঞানী হয়ে উঠেছেন। চন্দ্রযান (Chandrayaan 3) পাঠানোর এই কর্মযজ্ঞে সামিল হন তিনি। চন্দ্রযানের ইলেকট্রিক টিমের অন্যতম সদস্য বিজয়। ইসরোর বিশ্বজোড়া খ্যাতির কর্মকাণ্ডে বিজয়ের অংশগ্রহণে গর্বিত তাঁর বাবা-মা ও গ্রামের বাসিন্দারা। চন্দ্রযান-২ সফল না হলেও চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করায় খুশি বীরভূমবাসী। আনন্দে আত্মহারা বিজয়ের মা শ্যামলী দাই। তাঁর তিন ছেলের মধ্যে মেজ ছেলে হচ্ছে বিজয়। ছেলের এ হেন সাফল্য তিনি বলেন, বুধবার বিকেল থেকেই টিভির পর্দায় চোখ ছিল। চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩ নামতেই আমার গর্বে বুক ভরে ওঠে। কারণ, এতবড় কর্মযজ্ঞে আমার ছেলে নিজে সেখানে রয়েছে। তাদের সকলের এই পরিশ্রমে এই সাফল্য।
বিজ্ঞানী বিজয় দাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এলাকায় পদযাত্রা করল স্কুলের পড়ুয়ারা
২০০০ সালে মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রাম জগত্তারিণী বিদ্যায়তন থেকে ৮৯ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন বিজয় কুমার দাই। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ থেকে। তারপর কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেন। এরপর চাকরি পেয়ে যান ইসরোয়। সেখানেই চন্দ্রযান-২ এবং চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) উৎক্ষেপণে অংশগ্রহণ করেন বিজয়। ছাত্রের এই সাফল্যে খুশি তাঁর স্কুল শিক্ষক থেকে শুরু করে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার বিজয়বাবুর স্কুলের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা এলাকায় জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে এলাকায় পদযাত্রা করেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours