Flood: অসমে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, মৃত ৩, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

বন্যার কবলে পড়েছেন ৪ লক্ষ ৭ হাজার ৭৭১ জন...
assam_flood_f
assam_flood_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে (Assam) বন্যা (Flood) পরিস্থিতির আরও অবনতি। শনিবার পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। রাজ্যের ১৫টি জেলার ৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। রাজ্যের প্রতিটি নদীর জল বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। বন্যায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নলবাড়ি জেলা। এদিন এই জেলায় একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে।

ব্রহ্মপুত্রের রুদ্ররূপ

জোরহাট জেলায় তেজপুর এবং নেমাটিঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের জল বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। সব মিলিয়ে বন্যার কবলে পড়েছেন ৪ লক্ষ ৭ হাজার ৭৭১ জন মানুষ। এর মধ্যে মহিলার সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৫৩৮। ৫৩ হাজার ১১৯ জন শিশুও রয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলি হল বাকসা, বারপেটা, বাজালি, চিরাং, দারাং, ধুবড়ি, ডিব্রুগড়, গোয়ালপাড়া, গোলাঘাট, জোরহাট, কামরূপ, লখিমপুর, নাগাওঁ, নলবাড়ি এবং তামুলপুর। করুণ অবস্থা বাজালি জেলার। এই জেলায় বানভাসি হয়েছেন ২২ হাজার ১৫৮ জন, নলবাড়িতে দুর্গতের সংখ্যা ৪০ হাজার ৬৮ জন। আর লখিমপুরে বন্যার (Flood) কবলে পড়েছেন ২২ হাজার ৬০ জন।

জলের তলায় 

দুর্গতদের জন্য ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে ২২০টি। সেখানে ঠাঁই হয়েছে ৮১ হাজার ৩৫২ জনের। ত্রাণ বিলির জন্য প্রশাসনের তরফে বাজালিতে খোলা হয়েছে ৫৭টি কেন্দ্র, নলবাড়িতে ৩৪টি। বানভাসি হয়েছে রাজ্যের ১ হাজার ১১৮টি জেলা। জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে ৮৪৬৯.৫৬ হেক্টর জমির ফসল। কেবল শনিবারই বানের জলে ভেসে গিয়েছে ৯৬৪টি গবাদি পশু। বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে ১৫৭টি রাস্তা। ধুবড়িতে ভেসে গিয়েছে একটি সেতু। প্রবল বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছে করিমগঞ্জ জেলার কয়েকটি জায়গায়।

আরও পড়ুুন: মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সর্বদল বৈঠক, বন্দি ছাড়িয়ে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা

দারাং জেলায় বাঁধ ভেঙেছে চারটি। নলবাড়ি, গোটাঘাট, কামরূপ এবং বিশ্বনাথ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৫টি বাঁধ। আগামী কয়েকদিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাই জল (Flood) বাড়তে পারে রাজ্যের একাধিক নদনদীর। প্রত্যাশিতভাবেই প্লাবিত হতে পারে রাজ্যের নতুন নতুন অঞ্চল।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles