Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি! এবার বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

বিচারপতি লপিতা বন্দোপাধ্যায় বন সহায়ক পদের নিয়োগের নম্বর বিভাজন সহ মেধাতালিকা আগামী ২০ জানুয়ারি হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।
Calcutta_highcourt
Calcutta_highcourt

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষকের পর বন সহায়ক, ফের কাঠগড়ায় রাজ্যের 'নিয়োগ' প্রক্রিয়া। এবার বন সহায়ক নিয়োগের 'নম্বর সহ মেধাতালিকার' রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রাথমিক, স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী,  অশিক্ষক কর্মচারী,  নবম থেকে দশম পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই জেরবার রাজ্য সরকার। সেই তালিকায় জুড়ল বন সহায়ক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া। বিচারপতি লপিতা বন্দোপাধ্যায় বন সহায়ক পদের নিয়োগের নম্বর বিভাজন সহ মেধাতালিকা (Merit List) আগামী ২০ জানুয়ারি হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।

কী নিয়ে মামলা

প্রসঙ্গত, ২০২০-র ২২ জুলাই বন সহায়ক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের (Contractual Recruitment) একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্যের বন দফতর। এই বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগে স্বজনপোষণ ও অস্বচ্ছতার অভিযোগে সৈয়দ মহম্মদ আলি সহ একাধিক চাকরিপ্রার্থী মামলা করেন। শুধু বন সহায়ক পদেই নয়, অন্যান্য পদে নিয়োগ নিয়েও অস্বচ্ছতার অভিযোগ ওঠে। এই মামলায় আদালতের নির্দেশে কয়েক দফায় রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য। ২০২২ সালের ২২ জুলাই রাজ্য সরকার রিপোর্ট দিয়ে বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমানে ১৭০টি শূন্যপদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কথা জানানো হয়। এরপর ১৫ ডিসেম্বর রাজ্য আবারও আদালতে জানায়, মোট শূন্যপদের সংখ্যা ১৬১। যদিও রাজ্যের রিপোর্টে শূন্যপদের জন্য ১৭০ জনের মেধা তালিকার উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর ফের  অন্য একটি রিপোর্ট রাজ্যের তরফে জানানো হয়, মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছে ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর। আদালত রাজ্যের এই ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে। 

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের নতুন বেঞ্চে গেল রাজ্যের ডিএ মামলা, শুনানি কবে জানেন?

বিচারপতির মত

এই মামলায় বন দফতরের ভুমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি লপিতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রাজ্যের দু’রকম তথ্যেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেনিয়ম রয়েছে। ২ বছর ধরে চলা মামলায় অস্বস্তিতে রাজ্য বন দফতরও। মামলাকারীদের আইনজীবী শমীক চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা প্রমাণ হয়ে গেছে রাজ্যের দেওয়া দুইরকম রিপোর্ট ফারাকে। আমরা নম্বর বিভাজন-সহ মেধাতালিকার জন্য অপেক্ষা করছি। তা হাতে পেলে অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে বলে আমরা আশাবাদী। ’’

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles