মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) দাখিল করা দু’টি মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিল নির্বাচন কমিশন। এর ফলে নির্বাচনে (Pakistan General Election 2024) ব্যাকফুটে চলে গেল পাকিস্তান-তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) পার্টি। মরানের মনোনয়ন বাতিলকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ বলেছে তাঁর দল পিটিআই। ইমরানের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে দল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারে বলে ইঙ্গিত।
মনোনয়ন বাতিল
পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির আসন্ন নির্বাচনের (Pakistan General Election 2024) প্রার্থী হিসাবে ‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ’ (পিটিআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান লাহোরের এনএ–১২২ এবং মিয়াঁওয়ালির এনএ–৮৯ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।শনিবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সেই মনোনয়নপত্র অবৈধ বলে জানানো হয়েছে। পাক নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, যে দু’টি কেন্দ্র থেকে ইমরান খান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, সেখানকার বৈধ ভোটার নন তিনি। এছাড়া, বর্তমানে দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। জেলবন্দি কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার নেই। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।
আরও পড়ুন: ৬ মাস জেল! শ্রম আইনে দোষী সাব্যস্ত নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস
পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত
এ প্রসঙ্গে ইমরানের (Imran Khan) দল পিটিআই মহাসচিব ওমর আয়ুব খান বলেন, ‘‘সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে পিটিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার সাহস না থাকায় এই ধরনের অসাধু পদ্ধতি অবলম্বন করছেন ক্ষমতাসীনেরা। নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে।’’ ঘটনার জেরে পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেছেন পিটিআই কর্মী-সমর্থকেরা। উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বর ছিল পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র স্ক্রুটিনির শেষ দিন। মনোনয়নপত্র গ্রহণ বা বাতিলের বিরুদ্ধে আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করা যাবে। আগামী ১০ জানুয়ারি ওই আপিলের বিষয়ে নেওয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ১১ জানুয়ারি। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’ এবং প্রাদেশিক আইনসভাগুলির নির্বাচন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours