Health University: গোপন ফাইল নিজের কাছে? নয়া বিতর্কে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য! 

পদ নেই, বিশ্ববিদ্যালয়ের গোপন নথি রেখে দিয়েছেন প্রাক্তন উপাচার্য?
Health_University
Health_University

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলি নীতি থেকে মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষক নিয়োগ কিংবা পরীক্ষা নেওয়ার ধরন, বার বার বিতর্কে উঠে এসেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় (Health University)! এবার আরেক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

কী নতুন বিতর্ক (Health University)? 

স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের (Health University) নানা গোপনীয়, গুরুত্বপূর্ণ ফাইল কর্তৃপক্ষের কাছে এখন নেই। সেগুলি কোথায়, সে সম্পর্কেও কোনও স্পষ্ট তথ্য নেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুহৃদা পাল, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় গোপনীয়, গুরুত্বপূর্ণ ফাইল নিজের কাছেই রেখেছেন। রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের নির্দেশের পরেও তিনি সেগুলি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেননি। 
সম্প্রতি এ নিয়ে রাজ্যপাল তথা স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন চিকিৎসকদের সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গল। তাঁরা চিঠিতে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কাজ আটকে থাকছে। পাশপাশি, প্রাক্তন উপাচার্য কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোপনীয় নথি নিজের কাছে রাখতে পারেন, সে নিয়েও তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন। রাজ্যপালের কাছে তাঁদের প্রশ্ন, সুহৃদা পাল বর্তমানে সরকারের কোন পদে রয়েছেন, সে বিষয়ে কেউ জানেন না। এমনকি তিনি কোনও মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষকতার দায়িত্বে নেই। তারপরেও রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নথি কীভাবে তাঁর কাছে থাকে? তাছাড়া তিনি রাজ্য সরকারের থেকে নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন। কোন দায়িত্বের নিরিখে তাঁর বেতন, সে বিষয়েও রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

কী বলছেন চিকিৎসক মহল (Health University)? 

রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষক-চিকিৎসক নিয়োগ থেকে বদলি, একাধিক বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসক বদলি নিয়ে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। শাসক দলের ঘনিষ্ঠ না হলে সময় মতো পদন্নতি কিংবা বদলি হয় না, এমন অভিযোগ বার বার ওঠে। তাছাড়া, বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষার সময় স্বচ্ছতা ও নিয়মমাফিক কাজ হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর এই সমস্ত অভিযোগের দায় উপাচার্য এড়িয়ে যেতে পারেন না বলেও মনে করছেন চিকিৎসক মহল। তাই রাজ্যপাল সুহৃদা পালকে পদ থেকে সরানোর পরেই তিনি নথি হস্তান্তর করতে নারাজ হন। পাশাপাশি তিনি নথি কোথায় রেখেছেন, সে বিষয়েও বিশ্ববিদ্যালয় (Health University) কর্তৃপক্ষকে কিছু জানাতে চাইছেন না বলে মনে করছেন একাংশ।

কী বলছেন সুহৃদা পাল? 

রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন। গোপনীয় নথি নিজের কাছে রাখার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, কোনও মন্তব্য করবেন না।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles