মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম সঞ্জয় দাস। বাড়ি রানাঘাট। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত পড়েছিল সে। তারপর আর পড়াশুনা করতে পারেনি। তাতে কী হয়েছে? রীতিমতো গ্যাং তৈরি করে অনলাইনে প্রতারণার (Fraud) ফাঁদ পেতে বসে সে। আর সেই ফাঁদে পা দিলেই চাকরির টোপ দিয়ে মগজধোলাই করে চলত প্রতারণা (Fraud)। এইভাবে তার রোজগার হত লক্ষ লক্ষ টাকা। সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু, এই প্রতারকদের হাতে প্রতারিত (Fraud) হয়ে এক যুবক মগড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে নদিয়ার রানাঘাট থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম চন্দন রায়, সৌগত বৈরাগী, অর্ণব বিশ্বাস, সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় এবং সঞ্জয় দাস।
কী ভাবে চলত প্রতারণা (Fraud)?
প্রতারণার জন্য সঞ্জয় দামি মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ ব্যবহার করত। বেসরকারি ব্যাঙ্কের ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেসবুক-সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে কর্মখালির বিজ্ঞাপন দিত সে। সেই জালে পা দিলেই প্রতারণার (Fraud) শিকার হতে হত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে ফর্ম ফিলআপের জন্য অল্প টাকা নেওয়া হত। তারপর ‘রেজিস্ট্রেশন’ করতে হবে বলে আরও কয়েক হাজার টাকা নেওয়া হত। সে সব মিটলে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত। তাদের কাছ থেকে মোট ৮টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, নগদ ৪০ হাজার টাকা এবং বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। ১৪ এপ্রিল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে, চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে ছয় দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
কী বললেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার?
হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, এর আগেও একবার কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এই চক্র। ত্রিবেণীর মনোজিৎ সাউ নামে এক যুবক এবং তাঁর স্ত্রী আর্থিক প্রতারণার (Fraud) শিকার হয়েছেন বলে গত ১ ফেব্রুয়ারি মগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁদের ঠকিয়ে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। এরপরই আমরা তদন্ত শুরু করি। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা রয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours