মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনার (Indian Army) জন্য প্রায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র সরকার। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি (ডিএসি) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, সেনার তিন শাখার (স্থল, নৌ এবং বায়ু) পাশাপাশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন উপকূলরক্ষী বাহিনী (কোস্ট গার্ড)-র জন্য সমরাস্ত্র এবং সরঞ্জাম কেনা হবে এই অর্থে। ভারতের এই ভবিষ্যৎ সমর পরিকল্পনা (FRCV) ভয় ধরাচ্ছে চিন ও পাকিস্তানের।
ভবিষ্যতের যুদ্ধযান
ভারতীয় সেনার (Indian Army) হাতে আসতে চলেছে অত্যন্ত আধুনিক উন্নতমানের প্রায় ১৮০০ ভবিষ্যতের যুদ্ধযান (FRCV)। খরচ প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, আধুনিক বিশ্বে যুদ্ধকৌশল বদলে যাওয়ায় মাঝারি ওজনের অত্যাধুনিক ট্যাঙ্কের চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। ভারতীয় সেনা চাইছিল এমন ব্যাটল ট্যাঙ্ক, যা কিনা ফিল্ডের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ সহজে সামলাতে পারবে। সেনার ভাষায় একে বলে ফিউচার রেডি কমব্যাট ভেহিকল্স বা এফআরসিভি (FRCV)। সহজভাবে বলতে গেলে এখন যেসব ব্যাটল ট্যাঙ্ক দেখা যায় তারই অনেক উন্নত সংস্করণ।
দিনে-রাতে সমান দক্ষ
‘ভবিষ্যতের যুদ্ধযানে’র ভেতরে ঢুকলে এক ঝলকে মনে হবে কোনও হাই কনফিগারেশন গেমিং সিস্টেম। বিশাল বিশাল টাচ স্ক্রিন, ট্যাঙ্কের চারদিকে যা ‘৩৬০ ডিগ্রি ভিশন’ নজরদারির সুবিধা এনে দিয়েছে। ভিডিও গেমের মতো কন্ট্রোলার দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে ট্যাঙ্কটি (FRCV)। তিন জন সেনাই এই সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ন্ত্রণের পক্ষে যথেষ্ট। দিনে-রাতে সমান দক্ষতার সঙ্গে এই ট্যাঙ্ক কাজ করতে পারবে। পাহাড় ও মরুভূমি অঞ্চলেও এ ট্যাঙ্ক নিয়ে যাওয়া যাবে। চিন সীমান্তে লাদাখে তাপমাত্রা যখন হিমাঙ্কের ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড নীচে, কিংবা পাক সীমান্তে থর মরুভূমির তাপমাত্রা যখন ৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড! দুই ক্ষেত্রেই এই নতুন ট্যাঙ্কের দক্ষতার কোনও হেরফের হবে না।
আরও পড়ুন: দেশে বাড়ছে উদ্বেগ! এমপক্স নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের
পাক-চিনের মোকাবিলা
পাক-চিনের মোকাবিলায় সবমিলিয়ে ১০ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা। সেনার (Indian Army) তিন বাহিনী এবং আধাসেনার উপকূল রক্ষী বাহিনী এর সুবিধা পাবে। বায়ুসেনার জন্য থাকছে এয়ার ডিফেন্স ফায়ার কন্ট্রোলার রেডার (Air Defence Fire Control Radars)। এই রাডার সহজেই শত্রুর বিমানকে চিহ্নিত করে তাকে ধ্বংস করার জন্য পাল্টা গোলা ছোড়ার রাস্তা দেখাবে। অন্যদিকে, কোস্ট গার্ড পাচ্ছে ডর্নিয়ার ২২৮ (Dornier 228) নজরদারি বিমান। খারাপ আবহাওয়াতেও উপকূলে টহলদারির জন্য অত্যাধুনিক জলযান আসছে নৌসেনার হাতে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours