Yogurt: হাড়ের ক্ষয় থেকে ডায়ারিয়া, ওজন ঝরানো, কোন‌ কোন রোগে উপকার দেয় টক দই?

কেন নিয়মিত টক দই খেতে হবে? জেনে নিন বিস্তারিত
Sour_Yogurt
Sour_Yogurt

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

ব্যস্ত জীবনে বাড়ছে রোগের ভোগান্তি। অনিয়মিত খাওয়া, কম ঘুম কিংবা অতিরিক্ত কাজের চাপ স্বাস্থ্যের একাধিক সমস্যা তৈরি করছে। উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস থেকে স্থূলতা নানান জীবনযাপন সংক্রান্ত রোগে ভুগছেন‌ বাঙালি। তার উপরে অধিকাংশ বাঙালি মহিলা হাড়ের সমস্যায় ভোগেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত টক দই (Yogurt) এই সব সমস্যার দাওয়াই। প্রত্যেক দিন একবার মেনুতে টক দই রাখলে, একাধিক সমস্যা কমবে।

কোন কোন রোগের মোকাবিলা করবে টক দই? (Yogurt) 

চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, টক দইতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। তাই হাড়ের সমস্যা রুখতে খুব সাহায্য করে টক দই। বিশেষত মহিলাদের হাড়ের সমস্যা বাড়ছে। হাড় ক্ষয় রোগের দাপট চল্লিশোর্ধ মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত মহিলারা টক দই খেলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মিটবে। ফলে হাড়ের সমস্যাও কমবে‌। 
টক দইতে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড।‌ তাই টক দই পরিপাকতন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ল্যাকটিক অ্যাসিড ডায়ারিয়া রুখতে সাহায্য করে। আবার কোষ্ঠকাঠিন্যও মোকাবিলা করে। তাই পেটের সমস্যায় বিশেষভাবে সাহায্য করে টক দই। 
তাছাড়া, স্থূলতা কমাতে টক দই খুব উপকারী। তাই যাদের ওজন‌ দ্রুত বাড়ছে, মেদ কমানো জরুরি, তাদের নিয়মিত টক দই (Yogurt) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, টক দইতে এমন একাধিক উপাদান রয়েছে, যা শরীরে মেদ জমতে দেয় না। 
পাশপাশি, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ মোকাবিলায় টক দই খুব সাহায্য করে। নিয়মিত টক দই খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে, হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, টক দইয়ের মধ্যে থাকে উপকারী ব্যাকটেরিয়া। যা পাকস্থলী সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। 
নিয়মিত টক দই খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এর ফলে একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। 
তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত টক দই খাওয়া জরুরি।

কতখানি টক দই খাওয়া প্রয়োজন? (Yogurt) 

পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, টক দই খুবই উপকারী। কিন্তু এটা প্রয়োজন মাফিক খেতে হবে। তবেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। অতিরিক্ত টক দই খেলে আবার অন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পুষ্টিবিদদের মতে, দেহের ওজনের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে টক দই খেতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে খুব বেশি হলে ৩০০ গ্রাম টক দই খেতে পারেন। তার বেশি পরিমাণে টক দই কখনই খাওয়া যাবে না। কারণ, টক দইতে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। দেহে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম আবার নানান জটিলতা তৈরি করতে পারে। তাছাড়া, ফুসফুসের সংক্রমণ থাকলে অতিরিক্ত টক দই সমস্যা তৈরি করে। কারণ, টক দই ঠান্ডা খাবার। তাই বেশি টক‌ দই খেলে কাশির সমস্যা তৈরি হয়। তাই হাঁপানি বা ফুসফুসের কোনো বড় সমস্যা থাকলে টক দই খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি। তাছাড়া, টক দই দ্রুত ওজন‌ কমাতে সাহায্য করে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণ টক দই খেলে দ্রুত ওজন কমে যায়। যা শরীরকে দুর্বল করে দেয়। তাই টক দই (Yogurt) খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণে নজরদারি জরুরি।

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles