মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রন্ট অফ প্যাক নিউট্রিশন লেবেলিং রেগুলেশন তৈরি করতে চলেছে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (FSSAI)। খাবারের মানের জন্য স্টার রেটিং গত সেপ্টেম্বরে প্রস্তাবিত সুপারিশগুলির মধ্যে অন্যতম। স্টার রেটিং নিয়ন্ত্রণ করে এফওপিএল। এক থেকে পাঁচ পর্যন্ত করা হয় স্টার রেটিং। এই রেটিং লবণ, চিনি এবং চর্বি সামগ্রীর উপর ভিত্তি করে করা হয়। এই রেটিং থেকে বোঝা যাবে খাবারটি কতটা পুষ্টিকর। যদিও প্যাকেটজাত খাদ্য প্রস্তুতকারীরা এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। কারণ এত বড় পরিবর্তন সারা দেশে ব্যবসায়িদের প্রভাবিত করবে।
কী জানা গেল?
আইআইএম-আহমেদাবাদ- এর এফএসএসএআই- এর (FSSAI) এফওপিএল রেগুলেশনের প্রভাব নিয়ে একটি গবেষণা করেছে। সেখানে দেখা যায়, স্টার রেটিং সিস্টেম ব্যবহার করার পিছনে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ভিত্তি রয়েছে। সতর্কতা সূচক, পুষ্টির স্কোর, ট্র্যাফিক লাইট সিগন্যাল এবং পুষ্টির লেবেলের মতো একাধিক অন্যান্য বিকল্পের মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড উভয়ই একই সিস্টেম ব্যবহার করে। ফ্রন্ট অফ প্যাক নিউট্রিশন লেবেলিং সবচেয়ে বিতর্কিত একটি খাদ্য প্যাকেজিং নিয়ম। কয়েক বছর ধরে এটি আলোচনায় রয়েছে। ভারতে প্রথমবারের মতো একটি বহিরাগত সংস্থা লেবেলিং মানগুলির কাজ পরিচালনা করবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে কঠোর মানদণ্ডে জোর দিচ্ছেন। যদিও প্রক্রিয়াজাত এবং প্যাকেজড খাদ্য প্রস্তুতকারীরা বেশ কয়েক বছর ধরে এই বিষয়ে আপত্তি ব্যক্ত করছে। বিশিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনেক আলোচনা সত্ত্বেও কোনও সমাধান হয়নি।
আরও পড়ুন: কলকাতায় ইডি এবং সিবিআইয়ের দুই শীর্ষ কর্তা, কেন জানেন?
ভারতে ২০১৩ সালে এফএসএসএআই- এর (FSSAI) একটি বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী ২০১৪ সালে ফ্রন্ট অফ প্যাকেজ লেবেলিং প্রস্তাব করেছিল৷ ২০১৯ সালে, খাদ্য সুরক্ষা মান রেগুলেশনের খসড়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল৷ প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, খাদ্য পণ্যের কালার কোডেড লেবেলিং থাকা প্রয়োজন।
স্বাস্থ্যকর খাবার পছন্দ করতে গ্রাহকদের উত্সাহিত করার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর কৌশলগুলির মধ্যে একটি হল এফওপিএল লেবেলিং সিস্টেম (FSSAI)। এটি সিগারেটের প্যাকগুলিকে যেভাবে ব্যবহার রোধ করার জন্য ছবি দিয়ে চিহ্নিত করা হয় সেভাবে কাজ করে।
ভারতে এফওপিএল লেবেলিংয়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা (FSSAI)। দেশের পরিবর্তিত খাদ্যতালিকাগত ধরণ, প্রক্রিয়াজাত এবং অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবারের বর্ধিত ব্যবহার এবং একটি ক্রমবর্ধমান বাজারের কথা মাথায় রেখে এই সিস্টেম আনা হচ্ছে। স্থূলতার ক্রমবর্ধমান হার এবং অসংখ্য রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি কার্যকর হবে।
+ There are no comments
Add yours