মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত নাগরিকদের উপর দমন পীড়নের অভিযোগ উঠল। বাসিন্দাদের দাবি তাদের সঙ্গে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মতো আচরণ করছে প্রশাসন। এই কারণে বারংবার বিক্ষোভও দেখা গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। গিলগিট, বালুচিস্তানেরও (Gilgit Baltistan) একই অবস্থা বলে জানা গেছে। এই সমস্ত এলাকাগুলি শাসন করার কথা আজাদ কাশ্মীরের নিজস্ব একটি সংবিধান অনুসারে যেটি তৈরি হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে সব কিছুতেই হস্তক্ষেপ করছে পাকিস্তান। এমনকি ছোট খাটো ইস্যুতেও। সেখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাদের মৌলিক অধিকার বলে কিছুই নেই। কোনও কিছুতে মুখ খোলা যাবেনা, তাহলেই নেমে আসবে পাক প্রশাসনের অত্যাচার। শুধু তাই নয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, স্থানীয় পৌরসভা বা পঞ্চায়েতগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করছে পাকিস্তান। বিচারের ক্ষেত্রে স্থানীয় আদালতগুলি পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের অধীনেই কাজ করে। স্থানীয় পঞ্চায়েতগুলিতে ভোট হয়েছে শেষবারের মতো ১৯৯১ সালে। তারপর থেকে কোনও নির্বাচন হয়নি। সেখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের ভিত্তিতে আটকে রয়েছে ভোট। এই সময়ের মধ্যে অসংখ্য জাতি দাঙ্গাতেও বিধ্বস্ত হয়েছে পাকি অধীকৃত কাশ্মীর। জানা গিয়েছে, সংবিধানের ১৫ নং ধারায় পরিবর্তনের সময় ভয়ঙ্কর দাঙ্গা শুরু হয় সেখানে। ওই সংশোধনে উল্লিখিত ধারা থেকে স্টেট শব্দটি বাদ দিয়ে আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর বসানো হয়। এরপর পরেই পাক অধীকৃত কাশ্মীরের সমস্ত আর্থিক ক্ষমতা কেড়ে নেয় পাকিস্তান। দখলীকৃত কাশ্মীরের প্রতি নিজেদের অঙ্গরাজ্যের মতোই আচরণ করতে থাকে পাকিস্তান।
শিশুদের অনাহার বাড়ছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে
বর্তমানে পাকিস্তান অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। এই সময় অনাহার বেড়েই চলেছে পাক অধীকৃত কাশ্মীরে এবং স্থানীয় কিছু অঞ্চলের শিশুদের দুবেলা দুমুঠো খাবারও ঠিকঠাক জুটছে না বলে সূত্র মারফত জানা গেছে। এত কিছুর মাঝেও ভারতের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে পাকিস্তান প্রতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি সেখানে কাশ্মীরি শহীদ দিবস পালন করে চলেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours