Uttarkashi Tunnel Collapse: ফোনে ছেলের গলা শুনেও উদ্বেগ কাটছে না আরামবাগের দুই পরিবারে

উত্তরকাশিতে আটকে ছেলে সহ ৪১ জনের মঙ্গল কামনায় বাড়িতে পুজো দিলেন সৌভিকের পরিবার
Uttarkashi_Tunnel_Collapse_(1)
Uttarkashi_Tunnel_Collapse_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশিতে সুড়ঙ্গ ধসে (Uttarkashi Tunnel Collapse) আটকে থাকা ছেলের সঙ্গে কথা বলে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত উদ্বেগ কাটছে না দুই পরিবারে। প্রায় ১২ দিন পার হয়ে গেলেও এখনও উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশিতে ধসের জেরে সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে রয়েছেন ৪১জন শ্রমিক। তারমধ্যে আছে হুগলির আরামবাগ মহকুমার দুই যুবক। একজন পুরশুড়ার থানার নিমডাঙ্গির বাসিন্দা জয়দেব প্রামাণিক, অন্যজন পুরশুড়ার হরিনাখালির বাসিন্দা সৌভিক পাখিরা। তবে, উদ্ধারের কাছাকাছি পৌঁছানোর পরও তাঁদের এখনও উদ্ধার করা সম্ভব না হওয়ায় উদ্বেগে রয়েছেন পরিবারের লোকজন।

রাজ্যে কোনও কাজ না পেয়ে বাইরে কাজে যান জয়দেব

সৌভিক ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার ও জয়দেব সার্ভে ইঞ্জিনিয়ার কাজ করেন। প্রায় দেড় বছর আগে জয়দেব ওই কোম্পানিতে কাজে যোগ দেন। বাড়িতে বাবা তাপস প্রামাণিক ও মা তপসী প্রামাণিক। বাবার ছোট্ট চায়ের দোকান রয়েছে। সেখান থেকেই কোনওরকমে সংসার চলত তাদের। পরিবারের পাশে দাঁড়াতেই এই রাজ্যে কোনও কাজ না পেয়ে বাইরে কাজে যান জয়দেব। কিন্তু, হঠাৎ কাজ চলাকালীন সুড়ঙ্গ ধসে (Uttarkashi Tunnel Collapse) ছেলে আটকে পড়ার খবরে যেন বাবা ও মায়ের বাজ পড়ার মতো পরিস্থিতি হয়।

'আমি ঠিক আছি, তোমরাও ভালো থেকো', সুড়ঙ্গ (Uttarkashi Tunnel Collapse) থেকে বার্তা জয়দেবের

ছেলের চিন্তায় একেবারে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিশেহারা অবস্থা হয়েছিল জয়দেবের মায়ের। দুশ্চিন্তা ও উদ্বিগ্নের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। বুধবার রাত্রে হঠাৎ প্রথমে ছেলের ভয়েস কল রেকর্ডিং শুনে কিছুটা স্বস্তি ফেরে মায়ের ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের। যদিও  রাতেই ফোনে মায়ের সঙ্গে কথা বলেন ছেলে জয়দেব। জয়দেব ফোনে মা'কে বলেন, 'আমি ঠিক আছি, তোমরাও ভালো থেকো, সময়ে খেয়ে নিও ' আর ছেলের সেই কথা শুনে মনে স্বস্তি ফেরে বাবা ও মায়ের।

বৃহস্পতিবারও পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন সৌরভ

সৌভিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। সৌভিকের বাবা অসিত পাখিরা  পেশায় চাষি। মা লক্ষ্মী পাখিরা গৃহবধূ। সৌভিক কলকাতার আশুতোষ কলেজ থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করে উত্তরাখণ্ডে ওই কোম্পানিতে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। পুজোর সময় বাড়ি ফিরে দশ দিন ছুটি কাটিয়ে আবারও কাজে ফিরে যান। কাজে যোগ দেওয়ার চার দিন পরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে টানেলের (Uttarkashi Tunnel Collapse) মধ্যে আটকে পড়েন। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও উত্তরাখন্ড থেকে ফোনে সৌভিক তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলেন।  পরিবারের সকলে কেমন আছেন তা তিনি জানতে চান। হাসতেও শোনা যায় সৌভিককে। তারপরেই সৌভিকের মা অনেকটাই মনোবল ফিরে পান। তবে, সৌভিকের  মা চাইছেন, সকলকে যেন সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

সৌভিকের বাড়িতে পুজোর আয়োজন করা হয়

শুধু সময়ের অপেক্ষা করছেন দুই বাড়ির ছেলে কখন বাড়ি ফিরবে। ছেলের মঙ্গলকামনায় বৃহস্পতিবার বাড়িতে পুরোহিত দিয়ে পূজা অর্চনা করলেন সৌভিকের মা লক্ষীদেবী। যদিও এখনও উৎকণ্ঠায় রয়েছে  দুই পরিবারই ও প্রতিবেশীরা। কবে তাদের ছেলে সহ আটকে থাকা সকলকেই  উদ্ধার করা সম্ভব হবে তার আশায় দিন কাটাচ্ছেন।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles