Hindu Rituals: পুজোয় মঙ্গল ঘট কেন স্থাপন করা হয়, জানেন?

Mangal Ghot: বিশ্বাস, ঘট কোনও দেবী বা দেবতার মূর্তি বা প্রতিমা নয়, এটি হল...
mongol-ghot2
mongol-ghot2

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুশাস্ত্রে পুজোয় মঙ্গল ঘট স্থাপন করা অপরিহার্য। যে কোনও পুজোতেই প্রথমে ঘট স্থাপন করা হয়। বলতে গেলে ঘট স্থাপনের মাধ্যমেই ওই পুজোর আনুষ্ঠানিকতার শুরু হয়। যে পুজোর জন্য ঘট স্থাপন করা হয়, মূলত ঘট স্থাপনের মাধ্যমে ওই দেব বা দেবীকে আহ্বান জানানো হয় পুজো গ্রহণের জন্য।

কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেব এবং দেবীর জন্য দেখা যায় আলাদা আলাদা ঘট। বিশ্বাস, ঘট কোনও দেবী বা দেবতার মূর্তি বা প্রতিমা নয়। ঘট ভগবানের নিরাকার অবস্থার প্রতীক। সনাতন ধর্মের প্রত্যেক দেবদেবী এক, অভিন্ন ও নিরাকার পরম ব্রহ্মেরই এক একটি সাকার রুপের প্রকাশ।

আরও পড়ুন: প্রদীপের মুখ কোনদিকে থাকা উচিত? নিয়মগুলি না জানলে হতে পারে অমঙ্গল!

শাস্ত্রমতে, ঘট হল মঙ্গলের চিহ্ন। যে কোনও পুজো, মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান, গৃহপ্রবেশ ইত্যাদি অনুষ্ঠানে ঘট স্থাপন করা হয়। ঘটের মধ্যে আম্রপল্লব, বেলপাতা, ফুল ইত্যাদি দিয়ে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের পুজো হয়। বেলপাতা হল ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের প্রতীক। মানবজীবনকে ঘটের সঙ্গে তুলনা করা হয়। তাতে থাকে জল। জল হল জীবনের প্রতীক। প্রাণহীন শরীর যেমন মূল্যহীন, তেমনই জলবিহীন ঘটও মূল্যহীন।

এই ঘট স্থাপন এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, দেব-দেবীর কোনও মূর্তি ছাড়া শুধু ওই ঘটেই পুজো সম্পন্ন করা যায়, যার নাম হলো ঘট পুজো। ঘট স্থাপন করে যে দেব-দেবীকে আহ্বান জানানো হয়, সেই দেবদেবী ওই ঘটে অবস্থান নেন এবং ওই ঘটে থেকেই পুজো গ্রহণ করেন। 

ঘটের পেছনে যে আমরা নানা ভঙ্গিমার মূর্তি স্থাপন করি, সেটা মূলত পূজাকে একটি বড় অনুষ্ঠানে রূপ দেবার জন্য, যাতে ভক্তরা ওই মূর্তি দর্শনের জন্য পূজাস্থানে আসে এবং নিজের কল্যাণ লাভ করে। ঘটেই যে কোনও দেব-দেবী অবস্থান করেন। তার বড় প্রমাণ হল- পূজা শেষে পুরোহিত যখন বিসর্জন দেন, তখন তিনি মন্ত্র উচ্চারণ শেষে ঘট নারিয়ে তা সম্পন্ন করেন। বিসর্জন প্রকৃতপক্ষে এটাই। 

আরও পড়ুন: শঙ্খ তিনবার বাজানো হয়, কেন জানেন? কী বলা হয়েছে শাস্ত্রে?

জলে মূর্তি ডুবিয়ে দেওয়া বিসর্জন নয়, ওটা হল পুরনোকে ত্যাগ করা। পরের বছরে নতুন কিছু সৃষ্টির জন্য। জলে মূর্তি ডুবিয়ে দেওয়া যে প্রকৃত বিসর্জন নয়, তার আরেকটি প্রমাণ হল যে সব মন্দিরে-পাথর, পিতল বা সোনা রূপার স্থায়ী মূর্তি আছে, সেগুলোর জলে বিসর্জন না দেওয়া।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles