Hinduism And Quantum Physics: সনাতন ধর্মের  বেদের দ্বারা প্রাণিত হয়েছিলেন পাশ্চাত্যের বিজ্ঞানীরা?

Vedas: "সমস্ত কোয়ান্টাম প্রসেসের জনক সুপ্রিম ফাদার কৃষ্ণ", কেন বলেছিলেন ওপেনহাইমার, জানেন?...
vedas_f
vedas_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সবই বেদে আছে।’ বহু ব্যবহারে অতি ক্লিশে হয়ে যাওয়া এই শব্দবন্ধ যে নিছক কথার কথা নয়, তার প্রমাণ মিলেছে বহুবার। এবার আরও একবার জানা গেল, মহাবিশ্বের বয়স অনুমান থেকে শুরু করে জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি, জ্যোতির্বিদ্যা, সৃষ্টিরহস্য সবই রয়েছে হিন্দু ধর্মের মূল স্তম্ভরূপ শক্তি বেদে (Hinduism And Quantum Physics)। বিজ্ঞানীদের একটা বড় অংশের মতে, মহাবিশ্বের যে বয়স অনুমান করে আধুনিক বিজ্ঞান, তার সঙ্গে মেলে বেদে উল্লিখিত তথ্যও।

‘সবই বেদে আছে’ (Hinduism And Quantum Physics)

অথর্ব বেদের চিকিৎসা পদ্ধতি আজও বিস্ময়ের জন্ম দেয় চিকিৎসকদের মধ্যে। চরক এবং সুশ্রুত সংহিতায় এমন কিছু চিকিৎসা পদ্ধতির কথা রয়েছে, যা আজও চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিস্ময় বলে বিবেচিত হয়। এই বেদেই মেলে কোয়ান্টাম ফিজিক্সের বহু তত্ত্ব। ক্যালকুলাস, শূন্য, ঋণাত্মক সংখ্যার ধারণা, দশমিক, পাই, সাইন, কো-সাইইন, বিগ ব্যাং এবং একটি আন্তঃমাত্রিক মাল্টিভার্সের ধারণাও পাই বেদে (Hinduism And Quantum Physics)।

কর্ম এবং পুনর্জন্মের ধারণা

কর্ম এবং পুনর্জন্মের যে ধারণা বহু আগে বলে গিয়েছেন আর্য ঋষিরা, সেসবেরই মূল ভিত্তি ছিল বৈজ্ঞানিক। পদার্থবিদ্যায় বলা হয় শক্তি অবিনশ্বর। বেদেও তো বলা হয়েছে শক্তির সৃষ্টি কিংবা ধ্বংস নেই। সেটা প্রাণ শক্তি হোক কিংবা পরাশক্তি। পদার্থবিদ্যায় বলে প্রত্যেক ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে। সনাতন ধর্মের কর্মফলবাদও তো সেকথাই বলে আসছে সেই কোন সুপ্রাচীন কাল থেকে।

‘কজ অ্যান্ড এফেক্ট’

ফিজিক্সের ‘কজ অ্যান্ড এফেক্টে’র কথাই ধরা যাক। বৈদিক ঋষি এই তত্ত্বের উদগাতা। যদিও আধুনিক বিজ্ঞানের দাবি, এ সত্য তাদের আবিষ্কার। অথচ, সনাতন ধর্মের কার্য-কারণবাদের ধারণার সঙ্গে মেলে আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, জীববিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান এবং স্নায়ুবিজ্ঞানের ধারণা। আধুনিক পদার্থবিদ্যা বলে জড় উপ-পরমাণুগুলি মানুষের চিন্তার সংস্পর্শে না আসা পর্যন্ত সুপ্ত থাকে। সচেনতা প্রয়োগ করা হলে কণাগুলি জীবিত বা সক্রিয় হয়ে ওঠে। বস্তুত, এই ধারণার হদিশ আধুনিক বিজ্ঞানের ঢের আগে মেলে বেদে। কোয়ান্টাম ফিজিক্সের জনক বলা হয় যে দুই বিজ্ঞানীকে, তাঁদেরই একজন হলেন নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী নীলস বোর। সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বিশ্বখ্যাত এই পদার্থবিদ বলেছিলেন, “আমার মনে কোনও প্রশ্ন জাগ্রত হলে আমি উপনিষদের দ্বারস্থ হই।”

বেদের জয়গান

বিস্ময় বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলার কথায়ও তো জয়গান শোনা যায় বেদের ধারণারই। তিনি বলেছেন, “মানসিক শক্তির উপহার আসে ঈশ্বরের কাছ থেকে। আমরা যদি এই সত্যের ওপর মনকে নিবিষ্ট করতে পারি, আমরা এই মহান শক্তির সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করতে পারব।” নিয়মিত বেদ পাঠ করতেন বিশ্বশ্রুত বিজ্ঞানী হেইনসবার্গ। তিনি বলেন, “যাঁরা বেদান্ত পড়েছেন, তাঁদের কাছে কোয়ান্টাম থিয়োরি হাস্যকর লাগবে না।” প্রসঙ্গত, বেদের শেষ ভাগকেই ‘বেদান্ত’ বা ‘উপনিষদ’ বলে।

আর পড়ুন: গণনা চলছে ইরানের নির্বাচনের ভোট, ‘পুতুল’ প্রেসিডেন্ট কে?

বেদের ঋষিই তো বস্তুর ভরের ধারণা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ইউনির্ভাসাল ইনটেলিজেন্স এবং চেতনা ছাড়া মহাবিশ্ব হয়ে পড়বে স্থির, থাকবে না জীবনের অস্তিত্ব। মহাকর্ষ এবং সময় যে সম্পর্কিত, কোয়ান্টাম ফিজিক্সের এই তত্ত্বের উদগাতাও তো বেদেরই ঋষি (Hinduism And Quantum Physics)। যোগের ফলে যে আত্মার সঙ্গে দেবমূর্তির ঐক্য স্থাপিত হয়, তা তো বিজ্ঞানের কানেকটেড কনসাসনেসের ধারণা ব্যক্ত করে। জড় বস্তু ও সজীব বস্তুর ধারণাও তো প্রতিফলিত হয় পূজকের ইনটেনশানের মধ্যে দিয়ে। পূজক যখন বিগ্রহের পায়ে কোনও কিছু দিয়ে ‘স্বাহা’ কিংবা ‘স্বধা’ বলেন, তখন তো তিনি আসলে বলেন ‘কী নিবেদন করা হচ্ছে’ (স্বাহা), ‘এই বস্তুটি নিবেদনের উদ্দেশ্য’(স্বধা)। বেদে দ্যূলোক, ভূলোক-সহ একাধিক লোকের কথা বলা হয়েছে। কোয়ান্টাম ফিজিক্সেও তো সেই ধারণারই প্রতিরূপ দেখতে পাই। কোয়ান্টাম ফিজিক্সে ইউনিভার্স নয়, বলা হয়েছে মাল্টিভার্সের কথা।

ওপেনহাইমারের গলায় হিন্দুধর্মস্তুতি

হিন্দু ধর্মের জয়গান শোনা যায় বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী রবার্ট ওপেনহাইমারের গলায়ও। তিনি বলেন, “বিশ্বে হিন্দুধর্মই একমাত্র ধর্ম যারা বলে মহাবিশ্ব স্বয়ং মারা যায়, পুনর্জন্ম গ্রহণ করে। এটিই একমাত্র ধর্ম, যেখানে সময়ের স্কেলগুলি আধুনিক বৈজ্ঞানিক সৃষ্টিতত্ত্বের সঙ্গে মিলে যায়। এর চক্র আমাদের সাধারণ দিনরাত্রি থেকে ব্রহ্মার দিনরাত পর্যন্ত ৮.৬৪ বিলিয়ন বছর দীর্ঘ। পৃথিবী বা সূর্যের বয়সের চেয়ে দীর্ঘ এবং বিগ ব্যাংয়ের থেকে প্রায় অর্ধেক। তাদের দীর্ঘ সময়ের স্কেলও রয়েছে।”

বেদের বিভিন্ন তত্ত্বের রহস্য উদ্ঘাটন করবেন বলেন সংস্কৃত শিখেছিলেন বিজ্ঞানী ওপেনহাইমার। পরে তিনি সংস্কৃতেই পড়েছিলেন ভগবদ-গীতা। তাঁর মতে, গীতা তাঁর জীবনদর্শনকে বদলে দিয়েছিল। গীতাকে তিনি ‘সর্বাধিক ইনফ্লুয়েন্সিয়াল গ্রন্থ’ বলেও অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “এই শতাব্দীর সব চেয়ে বড় সুবিধা হল বেদ হাতে পাওয়া। সমস্ত কোয়ান্টাম প্রসেসের জনক সুপ্রিম ফাদার কৃষ্ণ (Hinduism And Quantum Physics)।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles