মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) তৃণমূল পরিচালিত বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলেরই ১২ জন কাউন্সিলর এর আগে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন। চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেছেন। দাবি আদায়ের জন্য বিক্ষোভও দেখিয়েছেন তাঁরা। যদিও কাউন্সিলরদের দাবি মেনে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অবশেষে এবার পুরসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন বাঁশবেড়িয়ার ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
ভোটে তৃণমূল হারতেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ! (Hooghly)
লোকসভা ভোটে বাঁশবেড়িয়া (Hooghly) পুরসভা এলাকায় সাড়ে ১১ হাজার ভোটে বিজেপির কাছে হারতে হয়েছে তৃণমূলকে। তারপরই দেখা যায় তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশ চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শুরু করেন। সূত্রের খবর, যারা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি, তাঁরা মিটিং ডাকেন না। তাই প্রথম বোর্ড মিটিংয়ে বিভিন্ন দফতরের ৬ 'টি স্ট্যান্ডিং কমিটি তৈরি হলেও তা নিষ্ক্রিয়। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার শাসকদলের কাউন্সিলররা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বারবার এই ধরনের পদক্ষেপ করায় দল বিড়ম্বনায় পড়ছে বলে মনে করছেন তৃণমূল কর্মীরা। এই বিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
আরও পড়ুন: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল
কী বললেন দলের বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা?
তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ দাস বলেন, "চেয়ারম্যান আমাদের কথা শোনেন না। নিজের পছন্দের কয়েকজন লোক দিয়ে কাজ করান। আমাদের কোনও গুরুত্ব দেন না। চেয়ারম্যানের অসহযোগিতার কারণে নিজেদের ওয়ার্ডে পরিষেবা দিতে পারি না। যার ফলে লোকসভা ভোটে আমাদের হার হয়েছে। এমনকী আমরা কাউন্সিলর হিসেবে এলাকার কোনও কাজ করতে পারছি না। স্ট্যান্ডিং কমিটি আমাদের কাছে অলঙ্কার ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ, স্ট্যান্ডিং কমিটির কোনও মিটিং হয় না। যা কিছু সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান নিজেই নেন।" কাউন্সিলর (Trinamool Congress) প্রিয়াঙ্কা দাস বলেন, "তিনটি স্ট্যান্ডিং কমিটির মাথায় রয়েছেন চেয়ারম্যান। কিন্তু, তিনিও কোনও মিটিং ডাকেন না। সমস্ত বিষয়ে আমরা দলের নেতৃত্বকে জানিয়েছি, তারা নিশ্চয়ই কোনও ব্যবস্থা নেবে।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours