Dengue: সরকারি হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত কিট! ডেঙ্গি পরীক্ষা করাতে গিয়ে নাজেহাল রোগীরা!

ডেঙ্গি হু হু করে বাড়ছে, কিন্তু সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষার কিট কোথায়?
Dengue_(5)
Dengue_(5)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক বছরের ধাক্কার পরেও বদল হয়নি পরিস্থিতি। সরকারি হিসাবে গত বছরে এ রাজ্যের প্রায় ৭০ হাজার মানুষ ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও এ বছরে কি বিশেষ হেলদোল দেখা যাচ্ছে? রোগ মোকাবিলায় সরকার কি সক্রিয়তা দেখাচ্ছে? ডেঙ্গির বিষয়ে সাম্প্রতিক রোগী হয়রানির অভিযোগ এই প্রশ্নগুলোকে আরও জোরালো করছে।

কী অভিযোগ তুলছেন ভুক্তভোগীরা (Dengue)? 

এ রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী ও পরিবারের একাংশের অভিযোগ, চলতি সপ্তাহে একাধিক সরকারি হাসপাতালে জ্বর, কাশি এবং হাতে-পায়ে যন্ত্রণার মতো উপসর্গ নিয়ে গেলেও ডেঙ্গি (Dengue) পরীক্ষা হয়নি। হাসপাতালের তরফে তাদের জানানো হয়েছে, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই। তাই ডেঙ্গি পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কিংবা বাইরে থেকে ডেঙ্গি পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া দরকার। 
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই অভিজ্ঞতা হচ্ছে জেলার হাসপাতালগুলোতে। যার জেরে ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়েই রোগীকে থাকতে হচ্ছে। সামান্য পরীক্ষা করানোর জন্য অসুস্থ ব্যক্তি কয়েক কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক সময় এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যেতে হচ্ছে। আর তার পরে পরীক্ষা করে জানা যাচ্ছে তার সংক্রমণ হয়েছে কিনা। এতেই বাড়ছে বিপদ।

কোন বিপদের আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল (Dengue)? 

ডেঙ্গি প্রতিরোধে সবচেয়ে জরুরি সময় মতো সংক্রমণ আটকানো এবং রোগীর চিকিৎসা করা। এমনই জানাচ্ছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল। কিন্তু যেভাবে ডেঙ্গি পরীক্ষা করতেই বাড়তি সময় ব্যয় হচ্ছে, তাতে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে যাচ্ছে। এমনটাই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, ডেঙ্গির উপসর্গ থাকা ব্যক্তির যদি সংক্রমণ হয়ে থাকে, আর তিনি এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল বিনা চিকিৎসায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাতে একদিকে তাঁর সময় মতো চিকিৎসার সুযোগ কমছে। তাঁর শরীরের অবনতি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। তেমনি তাঁর থেকে, তাঁর পরিবার ও এলাকার মানুষের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে। ডেঙ্গির মতো সংক্রামক রোগ রুখতে তাই উপসর্গ থাকা রোগীর দ্রুত রোগ নির্ণয় সবচেয়ে জরুরি। ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত নিশ্চিত হলে রোগীকে আলাদাভাবে রাখা এবং তার চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি। সামান্য পরীক্ষার জন্য যদি রাজ্যবাসীকে শুধুমাত্র মেডিক্যাল কলেজ নির্ভর হতে হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হবে বলেই তাদের আশঙ্কা। জেলা হাসপাতাল নয়। ডেঙ্গি পরীক্ষার কিট স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পর্যাপ্ত রাখতে হবে। তবেই দ্রুত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সম্ভব হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এমনটাই মনে করছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল।

কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা (Dengue)? 

স্বাস্থ্যকর্তারা অবশ্য জানাচ্ছেন, জুলাই মাস থেকে রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) পরীক্ষার চাহিদা বেড়েছে। গত এক মাসে ডেঙ্গিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৭০০-র কাছাকাছি। আগস্টের প্রথম সপ্তাহেও সেই ধারা এক রকম আছে। তাই অনেক হাসপাতাল বিশেষত নদিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা ও হুগলি জেলার কিছু হাসপাতালে সাময়িক সঙ্কট হয়েছিল। কিন্তু তা মিটে গিয়েছে বলেও দাবি করছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা। পাশপাশি তাঁরা জানান, রাজ্য সরকারের তরফে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কিট যাতে পাওয়া যায় এবং ডেঙ্গি রোগীর যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে তৎপর স্বাস্থ্য ভবন। এমনই জানিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles