Murshidabad: আমি না শাওনি, ঠিক করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, বিস্ফোরক বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই তোপ দাগলেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর!
Mahishadal_Rath_Yatra_(2)
Mahishadal_Rath_Yatra_(2)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরতপুরের (Murshidabad) বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, তৃণমূল নেতা অশোক দাসকে পাশে বসিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী শাওনি সিংহরায়কে অপসারণ করতে হবে বলে দাবি তুললেন। শাওনির জায়গায় নিয়ামত শেখকে বসাতে হবে বলেও তাঁর দাবি। একধাপ এগিয়ে তিনি আরও বলেন, জেলার আরও এক নেতা অপূর্ব সরকারকেও সরাতে হবে। কার্যত তৃণমূলের এই বিধায়ক জেলার নিজের দলের বিরুদ্ধেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তাঁর গুরুত্বকে আরও একবার প্রমাণ করতে দলের বিরুদ্ধে এভাবেই বিস্ফোরক হলেন এই তৃণমূল বিধায়ক।

কীভাবে ক্ষমতায় এল তৃণমূল?

হুমায়ুন বলেন, এই জেলার (Murshidabad) রাজনৈতিক ইতিহাস দীর্ঘদিনের। অশোক দাসের মতো মানুষ ১৯৯৮ সাল থেকে দলের সদস্য। সেই সময় এই জেলায় তৃণমূলের ভোটের পরিমাণ ছিল ৪%। পরে অশোক দাসকে দলের সভাপতি করলে ভোটের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯%। সেই সময় তাঁকে জেলার ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট করা হয়েছিল। এরপর মোহম্মদ আলি যখন প্রেসিডেন্ট হন, তখন দলের ভোট ৯% থেকে ২৪% এ পৌঁছায়। যারা যোগ্য, যারা জিতেছে, তাদের মধ্যে কেউ দলের ক্ষমতায় নেই। কিন্তু যারা হেরেছে, তাদেরকেই ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে! ঠিক এইভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান দলের বিধায়ক হুমায়ন কবীর।

মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ

হুমায়ুন কবীর ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যখন নন্দীগ্রামে হেরেছিলেন, আমরা ২১৩ জন বিধায়ক তখন মুখ্যমন্ত্রীকে দলনেত্রী হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছিলাম। রাজ্যপালের কাছে শপথ নেওয়ার সময় আমরা বিধায়করাই সই করেছিলাম। সেখানে শাওনি সিংহরায় সই করেনি! হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের সামনে আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাকে আগে প্রয়োজন! হুমায়ুন কবীরকে (Murshidabad) না শাওনি সিংহরায়কে? এটা মুখ্যমন্ত্রীকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে! তাঁর এই ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্যে দলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles