মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে (Nandigram) প্রকাশ্যে বিজেপি নেতার মা রথিবালা আড়িকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত মাকে জড়িয়ে ধরে খুনি তৃণমূলীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছিলেন মেয়ে সঞ্জু আড়ি। শনিবার তিনি বুথে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন। ভোট পূর্ববর্তী হিংসা'য় মাকে হারানো সঞ্জু ভোট দিয়ে বেরিয়ে বললেন, বাড়ির বাকিরাও ভোট দেবেন।
থমথমে মনসা বাজার (Nandigram)
নন্দীগ্রামের (Nandigram) গড়চক্রবেড়িয়া থেকে সোনাচূড়াগামী সড়ক ধরে প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিলে মনসা বাজার। ভোটের দিন সকালে দেখা গেল বাজারে তেমন লোক নেই। পুলিশের একটি দল টহল দিচ্ছে রাস্তায়। ওই মূল রাস্তার ডান দিক থেকে ছোট্ট পাকা রাস্তা ধরে প্রায় আড়াই কিলোমিটার হাঁটাপথ ধরে এগিয়ে গেলেই রথিবালাদের বুথ। সাউদখালি জলপাই গ্রামের এই রাস্তায় ঢুকতেই অদ্ভুত এক থমথমে পরিস্থিতি মালুম হয়। গোটা এলাকায় চোখে পড়ছে বিজেপির পতাকা। প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে বিজেপির মহিলা কর্মী রথিবালাকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় নতুন করে ফের অশান্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম। রথিবালাদেবীর মেয়ে সঞ্জু এক জনের স্কুটিতে চেপে বুথে যান।
আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থীকে ছোড়া হল ইট, গাড়ি ভাঙচুর,পালাল জওয়ানরা, কাঠগড়ায় তৃণমূল
ইভিএমেই মায়ের মৃত্যুর জবাব দিলাম
বুথের বাইরে সতর্ক প্রহরায় মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর চার জওয়ান। সেখানেই সকাল সকাল ভোটদান করলেন রথিবালার মেয়ে সঞ্জু। তাঁকে দেখেই দ্রুত বুথের ভিতরে যাওয়ার রাস্তা ছেড়ে দিলেন অন্যরা। ছলছল চোখে ভোট দিয়ে বেরিয়ে সঞ্জু বলেন, "মাকে নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনায় গোটা পরিবার ভেঙে পড়েছে। বাড়িতে দুই দাদা এবং বউদি। বড় দাদা সঞ্জয় গুরুতর জখম হয়ে কলকাতায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বাড়িতে ওর স্ত্রী আর দুই শিশু আছে। আর এক দাদা এবং তার স্ত্রী-ও বাড়িতে আছে। আমি আগে এলাম। বাড়ির বাকি সবাই ভোট দিয়ে যাবে। ইভিএমেই মায়ের মৃত্যুর জবাব দিলাম।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours