মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশে ভোট শুরু হতে যাচ্ছে, বেশিদিন বাকি নেই গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনরেও। এই দুই রাজ্যে নির্বাচন বিজেপির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভোটের সময় নিরাপত্তায় একবিন্দু ফাঁক রাখতে চাইছে না সরকার। ভোটের কয়েক দিন আগে, বুধবার দিল্লিতে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (IB) সদর দফতরে গোয়েন্দা আধিকারিকদের সঙ্গে প্রায় ৬ ঘণ্টা বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে শুধু ভোটের নয় কাশ্মীর সহ সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আলোচনা চলে দেশের আভ্যন্তরীন নিরাপত্তা নিয়েও। বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই মিটিং চলে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে গুলিবিদ্ধ বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক, এনকাউন্টারে খতম ২ জইশ জঙ্গি
কী আলোচনা হল বৈঠকে
ইন্টালিজেন্স ব্যুরোর (IB) একজন সিনিয়র অফিসার জানিয়েছেন, “ক্রমবর্ধমান মৌলবাদ, বিশেষ করে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) এর সঙ্গে ১২৫ জনের বেশি ব্যক্তি গ্রেফতার হওয়ার বিষয় বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে।” আন্তঃসীমান্ত জঙ্গিবাদ, মাদক পাচার, সন্ত্রাবাদীদের আর্থিক মদত, সাইবার ক্রাইম, সীমান্ত এলাকায় ড্রোনের ব্যবহারের প্রসঙ্গ উঠে আসে আলোচনায়। ওই গোয়েন্দা আধিকারিক জানান,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য তহবিল প্রতিরোধে মনোনিবেশ করতে বলেছেন। এই বৈঠকে শুধু ভোটমুখী দুই রাজ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাই নয় কথা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়েও। সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করা হয়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোনে করে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য ফেলার পরিমাণ গত কয়েক মাসে বেড়েছে। এর দ্রুত প্রতিরোধ চেয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দেশকে সুরক্ষিত রাখার জন্য আইবি-এর প্রচেষ্টার প্রশংসাও করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: উত্তাল ভূস্বর্গ নিকেশ ৪ আতঙ্কবাদী জঙ্গি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য
এদিন ইন্টালিজেন্স ব্যুরোর (IB) প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের শান্তি বজায় রাখতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতের গোয়েন্দা বিভাগ। সন্ত্রাস নির্মূলের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘সন্ত্রাসকে খতম করতে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গেই তাঁদের যে ‘সার্পোট সিস্টেম’ বা সহায়ক ব্যবস্থা রয়েছে, তাকেও নির্মূল করতে হবে। তবেই সামগ্রিক ভাবে সাফল্য পাওয়া সম্ভব।’’ তাঁর মতে, যারা নাশকতার কাজে সরাসরি যুক্ত, তাদের চিহ্নিত করে খতম করা সহজ। কিন্তু বহু বুদ্বিজীবী, শিক্ষিত মানুষ রয়েছেন, যাঁরা গোপনে দেশবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত। যাঁদের কাজই হল, মৌলবাদকে উস্কে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপকে পরোক্ষ গতি দেওয়ার। মূলত সন্ত্রাসের সমর্থনকারী সেই ‘সাপোর্ট সিস্টেম’-কে চিহ্নিত করার উপরে জোর দিয়েছেন শাহ। এই বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সম্বন্বয় ও ‘রিয়েল টাইম’-তথ্য আদানপ্রদানের উপরেও গুরুত্ব দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সঙ্গে, মুম্বই হামলার মতো জলপথের জঙ্গি হামলা এবং মাদকের প্রবেশ রুখতে সমুদ্র পথ ও বন্দরগুলিতে কড়া নজরদারির কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours