Suvendu Adhikari: “স্বামীজি বেঁচে থাকলে বাংলা থেকে প্রস্থান করতেন!”, সিমলা স্ট্রিট থেকে রাজ্যকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

কলকাতার বাবুঘাট সংলগ্ন বাজাকদমতলা গঙ্গার ঘাটে গঙ্গা আরতি করার বিষয়ে জায়গা চূড়ান্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Suvendu1
Suvendu1

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১ তম জন্মদিনে সিমলা স্ট্রিট থেকে রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতা সরকারকে কটাক্ষ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, "আজ রাজ্যে শিক্ষার যা অবস্থা তাতে, স্বামীজি বেঁচে থাকলে বাংলা থেকে প্রস্থান করতেন। অন্য কোনও দেশে আশ্রয় নিতেন।" এদিন বিরোধী দলনেতা বিজেপি যুব মোর্চার ইয়ং ইন্ডিয়া রান কর্মসূচিতেও অংশ নেন। 

শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন আরও বলেন, "রাজ্যে শিক্ষার যা অবস্থা তাতে পুরো শিক্ষা দফতরটাই জেলে।" স্বামীজি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, "জন্মভিটায় আসার রাস্তায় স্বামীজির ছবিগুলি ছোট ছোট। সেখানে কোনও একজন কার্বাইড দিয়ে পাকানো রাজনৈতিক নেতার বড় বড় কাট আউট। এই সংস্কৃতি ভাল নয়। ভয়ঙ্কর সংস্কৃতি। স্বামীজির সঙ্গে ছবি দেওয়া তো দূরের কথা, নাম দেওয়ার আগে ভাবতে হয়।" বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, এই প্রথম স্বামীজির বাড়িতে মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, যাঁদেরকে একটা কুকুরও চাঁটবে না, তাঁদের জন্য মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে, বলেন তিনি। 
 
সাংবাদিকরা যাতে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) অভিষেকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তুলে না ধরেন, সেই কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "অভিষেক আসেন বিকেলে। গত ২৫-২৬ বছর ধরেই ১২ জানুয়ারির সকালে আমি স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানাতে আসি। আমি ওঁর কাউন্টার পার্ট নই। অ্যান্টিকে হারিয়েছি।" বিবেকানন্দের বাণী উল্লেখ করে বলেন, "আমি-আমি করিও না। আমরা আমরা করিও।"        

এদিন স্বামীজির সিমলা স্ট্রিটে বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, "স্বামীজি ছিলেন, যুব সমাজের আইকন। আর আজ যাঁদের যুব সমাজের আইকন বলে প্রচার করা হচ্ছে, তাঁদের কখনও ইডি আর কখনও সিবিআই ডাকে।"

গঙ্গা আরতি বিতর্ক 

গঙ্গাঘাটে আরতি প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, "আমরা যে ঘাটে গঙ্গা আরতি করার পরিকল্পনা নিয়েছিলাম সেখানে আমাদের গঙ্গা আরতি করার বিষয়ে বাধা দিলেও মুখ্যমন্ত্রী সেই জায়গাতেই আরতি ঘাট চূড়ান্ত করলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছদ্মবেশ সবাই ধরে ফেলেছেন।" মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে এদিন সুকান্ত আরও বলেন, "গেরুয়া বসন পরলেই হিন্দুত্ব প্রমাণ হয় না। ভোটের সময় গেরুয়া বসন পরলেই সবাই হিন্দু হয়ে যায় না। আমরা চাই রাজ্যের সব জায়গায় গঙ্গা আরতির ঘাট তৈরি করা হোক। তবে উনি সরকারি নোটিফিকেশন বের করুন যে, সবাই গঙ্গা আরতি করতে পারবে। শুধু বিজেপির কেউ করতে পারবে না। কারণ বিজেপির সব কিছুতেই তো উনি বাধা দেন।"

প্রসঙ্গত, কলকাতার বাবুঘাট সংলগ্ন বাজাকদমতলা গঙ্গার ঘাটে গঙ্গা আরতি করার বিষয়ে জায়গা চূড়ান্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারাণসীর ধাঁচে এবার কলকাতাতেও গঙ্গা আরতি শুরু হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই তাঁর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিজেপি নেতারা। 

আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি, কারখানায় আয়কর হানায় উদ্ধার কোটি কোটি টাকা

শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, "নকল হিন্দুদের মানুষ বিশ্বাস করে না। মুখ্যমন্ত্রী সনাতনীদের কতটা ঘৃণা করেন তা বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধনে হাওড়া স্টেশনে এসে জয় শ্রীরাম স্লোগান শুনে বিরক্তি প্রকাশ করেই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাই গঙ্গায় আরতি করুন আর গঙ্গায় ঝাঁপ দিন, কোনও কিছুতেই লাভ হবে না। বাংলার সনাতনীরা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল, আজ তাদের জাগরণ অনেকটাই হয়ে গিয়েছে। আর কিছুটা বাকি আছে। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী প্রাক্তন হয়ে যাবেন।"

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles