Supreme Court: যৌন জীবন নিয়ে প্রশ্ন নয়, নির্যাতিতার প্রতি সংবেদনশীল হওয়া উচিত নিম্ন আদালতের, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

কোনও অস্বস্তিকর প্রশ্নও করা যাবে না।
1296954-supreme-court
1296954-supreme-court

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্ষণ, যৌন হেনস্থার শিকার এমন নির্যাতিতার জন্য এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ধর্ষণ, যৌন হেনস্থার মত অনেক ঘটনাই প্রতিনিয়ত আমাদের সামনে আসে। যাদের সঙ্গে এসব ঘটনা ঘটে, তাদের মধ্যে অনেকেই এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারে না সমাজের লোকলজ্জার ভয়ে, চাপে পড়ে। আর যারাও সাহস করে অভিযোগ দায়ের করতে যান, তাদের মধ্যে অনেকেই ন্যায়-বিচার পায় না। এছাড়াও বিচারের আশায় পুলিশ স্টেশন, আদালতে গেলে অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়, যার মুখোমুখি হয়ে উত্তর দেওয়ার মানসিক শক্তি অনেক মহিলারই থাকে না। তাই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, এমন ধরণের ঘটনার ক্ষেত্রে আদালতের অনেক বেশি সংবেদনশীল হওয়া উচিত। বিচার প্রক্রিয়া যাতে আরও সহানুভূতিশীল হয়, তেমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

এক মামলার শুনানিতে শুক্রবার নিম্ন আদালতগুলিকে বেশ কিছু নির্দেশিকা দিল বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ থেকে বলা হয়েছে, যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে অভিযোগকারী বা নির্যাতিতার ক্ষেত্রে এই বিচার প্রক্রিয়া যাতে কঠিন না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে আদালতগুলিকে। ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ধর্ষণের ক্ষেত্রে অনেক সময় পুলিশ এই মামলা সমাধান করতে না পারলে সেক্ষেত্রে আদালতের দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়।

সুপ্রিম কোর্ট অনুযায়ী, নির্যাতিত বা নির্যাতিতার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা উচিত

  • যেসব মামলার ক্ষেত্রে দরকার একমাত্র সেখানেই ক্যামেরার সামনে বিচার করা যাবে।
  • আদালতকে নিশ্চিত করতে হবে, নির্যাতিতা যাতে কোনও ভাবেই অভিযুক্তকে দেখতে না পান।
  • নির্যাতিতার বয়ান নেওয়ার সময় অভিযুক্তকে আদালত কক্ষের বাইরে বের করে দিতে হবে।
  • নির্যাতিতার যৌনজীবন নিয়ে কোনও প্রশ্ন করা যাবে না। কোনও অস্বস্তিকর প্রশ্ন করা যাবে না।
  • যদি কোনও নির্যাতিতা ইতিমধ্যেই আঘাত পেয়ে থাকে, এমন ক্ষেত্রে আদালতের উচিত অভিযোগকারীকে আরও চাপ না দেওয়া এবং তদন্তের জন্য পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশের একটি মামলার জেরেই এমন নির্দেশিকা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় পুলিশ তেমন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ও নিম্ন আদালতের তরফেও বলা হয়েছিল, ওই মামলায় যথেষ্ট প্রমাণ নেই। অভিযোগকারিকেই প্রমাণ জোগাড় করতে বলা হয়েছিল। এর পরেই মহিলা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। তারপর সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছে যে, যৌন হেনস্থার মতো ঘটনায় প্রমাণ জোগাড় ও তদন্তের ক্ষেত্রে এর দায়ভার পুলিশকেই নিতে হবে।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles