মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরস্বতী পুজো করাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতি। প্রথমে শুরু হয় বচসা এবং পরে হাতাহাতি হয় উভয় পক্ষের মধ্যে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে, পুলিশের বিরুদ্ধে মারধর, লাঠিচার্জের অভিযোগ তোলেন বিজেপি সমর্থক গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হবিবপুর থানার শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শীর্ষি এলাকায়। ের জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা।
স্থানীয়দের বক্তব্য (Malda)
এলাকায় (Malda) সরস্বতী পুজোকে ঘিরে মারধরের প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি সমর্থক উত্তম মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, “আমরা এলাকায় পুজো করছিলাম। আচমকা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের উপর আক্রমণ করে। আমাদের পুজোর সামগ্রী ফেলে দেয় তারা। এরপর আমাদেরকে মারধর করে। ঘটনায় পুলিশে খবর দিলে হবিবপুর থানার পুলিশ এসে উলটে আমাদের উপর লাঠিচার্জ করে।”
বিজেপির বক্তব্য
বিজেপির অভিযোগ, এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রত্যক্ষ মদতে পুলিশ এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। ইতিমধ্যে ১১ জন আহত হয়েছেন। তাঁদেরকে মালদা (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত। তিনি বলেন, “পুলিশ দোষীদের না ধরে বিজেপি সমর্থক গ্রামবাসীদের ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। পুলিশ অফিসার বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী স্থানীয় তৃণমূল নেতার নির্দেশে এই কাজ করেছেন। আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই।” পরে অবশ্য গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে হবিবপুর থানা ও জেলার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
তৃণমূলের বক্তব্য
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় সরস্বতী পুজো হয়ে থাকে একটি জমিতে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী দেব মন্ডল দাবি করেন ওই জমিটি তাঁর। আর এই নিয়ে শুরু হয় বিবাদ। ঘটনায় বিবাদ থামাতে হবিবপুর (Malda) থানার পুলিশ পৌঁছে সামাল দেয় গ্রামবাসীদের। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিপ্লব মন্ডল বলেন, "সরস্বতী পুজো করে গায়ের জোরে অশান্তি তৈরি করেছে বিজেপি।" আবার জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বলেন, “সারা বাংলায় তৃণমূলের উন্নয়নের কাজে বিজেপি উস্কানি দিয়ে চলেছে। সরস্বতী পুজোর দিনে এই সংঘর্ষ কাম্য নয়। পুলিশকে আরও সংযত হয়ে কাজ করতে হবে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours