মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ায় (Purulia) আদিবাসী তরুণীকে শ্লীতাহানির করার অভিযোগ পুলিশেরই বিরুদ্ধে। বাড়িতে ঢুকে মারধর এবং টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার জেরে ক্লোজ করা হয়েছে কোটশিলা থানার এক পুলিশ আধিকারিককে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত প্রক্রিয়া। অপর দিকে তরুণীর সঙ্গে দেখা করেছেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত এবং সেই সঙ্গে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। ঘটনায় জেলায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।
মূল অভিযোগ কী (Purulia)?
অভিযোগ জানিয়ে তরুণী বলেন, “রাত সাড়ে দশটা নাগাদ কোটশিলা থানার (Purulia) এক আধিকারিক এবং আরও দুজন আমাদের বাড়িতে ঢোকেন। এরপর ঘরে মদ রয়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে মারধর করা হয়। আমাদের ঘরে রাখা টাকাও তুলে নিয়েছেন তাঁরা। আমরা বিচার চাই।” সেই সঙ্গে অভিযোগপত্রে তরুণী আরও বলেন, “আমার সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করা হয়। সেই সঙ্গে আমার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। থানার বড়বাবু আমাকে বলেন, "নিচু জাতির মেয়ে, তোরা অনেক বেড়ে গিয়েছিস। এই ভাবে তোদের জব্দ করব। থানায় গিয়ে জানালে আবার এই ভাবে এসে মারবো।”
বিজেপির অভিযোগ
এই ঘটনায় পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত বলেন, “গত রবিবার রাতে তরুণীর বাড়িতে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে পুলিশ। বাড়ি থেকে চল্লিশ হাজার টাকা ছিনতাই করেছে পুলিশ। বাড়িতে মদ রাখার মিথ্যা অভিযোগ তুলে এই ধরনের অভব্য আচরণ করা হয়। আমরা অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের শাস্তি চাই। রক্ষকই ভক্ষের ভূমিকা পালন করছে।”
পুলিশের বক্তব্য
মঙ্গলবার থেকে ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণের চাপ তৈরি হওয়ায় তদন্ত শুরু হয়। জেলার পুলিশ সুপার (Purulia) অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনার কথা জানতে পেরেই আমরা অ্যাডিশনাল এসপিকে তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই অভিযুক্ত পুলিশকে ক্লোজ করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ইতিমধ্যে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।” যদিও ঘটনায় তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours