মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা (IT Return) দেওয়ার আগে খুব ভালো করে সব তথ্য দেখে নিয়ে তবেই জমা দিন। তা না হলে আয়কর দফতর তথ্য সংশোধনের জন্য নোটিস পাঠাতে পারে। শুধু তাই নয়, রিফান্ডের ক্ষেত্রে ভুল দাবি করলে তার জন্য সংশ্লিষ্ট করদাতার উপরে অতিরিক্ত সুদ এবং ২০০% পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। আয়কর দফতর সূত্রের খবর, ভুল রিফান্ডের (IT Refund) সংখ্যা কমাতে এবং তা সঠিক করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে কারণে এই বছরে আয়কর দফতর একটি বিশেষ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। যার মাধ্যমে করদাতাদের কর ছাড় বিশেষ করে টিডিএস ছাড়ের জন্য নোটিস পাঠানো হচ্ছে যাতে তাঁরা আয় থেকে টাকা বাদ দেওয়ার তথ্যের শংসাপত্রের প্রমাণ রাখেন নিজেদের কাছে।
আরও পড়ুন: কোন পথে বাঁচাবেন আয়কর? জানুন
একাধিক রিফান্ড দাবি করলে তখন করদাতার কাছে এমন নোটিস যেতে পারে। এই সমস্ত ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, বিনিয়োগের কোনও সার্টিফিকেট না থাকলে বা করছাড়ের জন্য করদাতার আবেদন ভুল হলে নোটিস পাঠাতে পারে আয়কর দফতর। এমন ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট করদাতাকে সমস্ত তথ্য পুনরায় খতিয়ে দেখার কথা বলা হচ্ছে। এর একটাই উদ্দেশ্য, ভুল রিফান্ডের সংখ্যা কমানো বা সেই সংখ্যা সঠিক করা।
Form 16-এ উল্লিখিত তথ্যের সঙ্গে যদি আয় থেকে টাকা বাদ দেওয়ার তথ্যে কোনও অসঙ্গতি থাকে, সেক্ষেত্রে এই নোটিস পাঠানো হচ্ছে। এমন ক্ষেত্রে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যাতে Form 16-র তথ্যের সঙ্গে রিটার্নে উল্লিখিত তথ্যের যেন সঙ্গতি থাকে। যেমন একজন ব্যবসায়ীকে পাঠানো নোটিসের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে,—"আপনার মোট আয় কম করে দেখানো হয়েছে। সেটা যাচাই করে দেখুন। এই নোটিস আপনাকে সতর্ক করতে পাঠানো হচ্ছে যাতে আপনি AIS-এ উল্লিখিত তথ্য যাচাই করে নেন এবং রিফান্ডের ভুল দাবি না করেন।"
আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন দাখিল করেননি? জেনে নিন দিতে হবে কত লেট-ফি
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের নোটিস পেলে আগেই বিনিয়োগের সমস্ত শংসাপত্র জোগাড় করে রাখা প্রয়োজন। নোটিস আসার পরে করদাতারা উত্তর দেওয়ার জন্য ১৫ দিন সময় পাবেন। যদি বিনিয়োগের সংশাপত্র করদাতার কাছে না-ও থাকে, তা হলেও রিফান্ডের তথ্য একাধিকবার যাচাই করে দেখা উচিৎ। তা না হলে অতিরিক্ত সুদ এবং ২০০% জরিমানা ধার্য হতে পারে। রিটার্ন রিভাইসের মাধ্যমে জরিমানা এড়ানো সম্ভব।
+ There are no comments
Add yours