মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ স্বাধীন হয়েছিল ১৯৪৭ সালে। তার আটশো থেকে নশো বছর আগে ধ্বংস হতে বসেছিল ভারতের সংস্কৃতি। কিন্তু সেই সংস্কৃতি বেঁচে রয়েছে। মানবিক উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক উন্নতি দুই ক্ষেত্রেই ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের দিন এমনই অভিমত পোষণ করলেন আধ্যাত্মিক নেতা সদগুরু (Sadguru)।
সদগুরুর বক্তব্য
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এদিন কোয়েম্বাতুরের ঈশা যোগ সেন্টারে ভাষণ দিচ্ছিলেন সদগুরু। সেখানেই তিনি বলেন, “আটশো থেকে নশো বছর আগে আমরা বিপন্ন হতে বসেছিলাম। যা এই গ্রহের আর কোনও দেশকে হতে হয়নি। আমরা যখন গণহত্যার কথা বলি, তখন আমরা চেঙ্গিশ খানের কথা বলি, আমেরিকার উপজাতি অথবা আফ্রিকার মানুষদের ক্রীতদাসে পরিণত করার কথা বলি কিংবা অ্যাডফ হিটলার যেভাবে মানুষ নিধন যজ্ঞ করেছিলেন, তার কথা বলি। কিন্তু আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই এই বলে যে, ভারতের মতো আর কোনও দেশকেই এভাবে বিধ্বস্ত হতে হয়নি।”
'জীবন্ত স্পিরিট'
ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়েও কীভাবে ভারত তার সংস্কৃতিকে ধরে রাখল, সে ব্যাখ্যাও এদিন দিয়েছেন সদগুরু (Sadguru)। তিনি বলেন, “এ দেশে অনেক কিছুই ঘটেছে। তা সত্ত্বেও দেশবাসী তাঁদের স্পিরিটটাকে ধরে রেখেছিলেন। তবে এই স্পিরিট দেশবাসীর ফাইটিং স্পিরিট নয়। এটা ভারতের একটা সুন্দর প্রকৃতি। এটা একটা জীবন্ত স্পিরিট। সচরাচর দেশবাসী তাঁদের মধ্যে ফাইটিং স্পিরিট পুষে রাখেন। তবে আমরা যাঁরা ভারতবাসী, আমাদের মধ্যে কোনও ফাইটিং স্পিরিট নেই। আমরা কারও সঙ্গে লড়াই করতে চাই না। আমরা শুধু চাই বাঁচতে, প্রত্যেককে বাঁচতে দিতে।”
আরও পড়ুুন: পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে ‘কালো দিন’ পালন সিন্ধ-বালোচ ফোরামের
সদগুরু বলেন, “এটা এমন একটা জাতি, যা সর্বদা সভ্যতাকেই আঁকড়ে ধরে, বিশ্বকে আঁকড়ে ধরে। ভারত এটা করে তার সংস্কৃতি দিয়ে, তার সঙ্গীত দিয়ে, তার বিজ্ঞান দিয়ে, তার বাণিজ্য দিয়ে এবং সর্বোপরি তার আধ্যাত্মিক পদ্ধতি দিয়ে। এই পথেই আমরা বিশ্বকে প্রভাবিত করি।” তিনি (Sadguru) বলেন, “তাই স্বাধীনতার এই পুণ্য দিনে আসুন আমরা শপথ নিই আমরা যেন অন্তর্ভুক্তিকরণ করতে পারি। এবং এভাবেই বিশ্বনেতা হতে পারি। এমন একটা জাতি গঠন করতে পারি, যারা কেবল মানব কল্যাণের কথাই ভাববে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours